‘এন-৯৫’ মাস্ক দুর্নীতি: গ্রেপ্তারকৃত লীগ নেত্রী শারমিন জাহানের রিমান্ড মঞ্জুর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i81731-এন_৯৫’_মাস্ক_দুর্নীতি_গ্রেপ্তারকৃত_লীগ_নেত্রী_শারমিন_জাহানের_রিমান্ড_মঞ্জুর
করোনা সুরক্ষায়  চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য  নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত  আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন জাহানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (শনিবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২৫, ২০২০ ১৫:১৫ Asia/Dhaka
  • শারমিন জাহান
    শারমিন জাহান

করোনা সুরক্ষায়  চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য  নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত  আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন জাহানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (শনিবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ  নকল মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে আজ  আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে  তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ।  আদালত শুনানি নিয়ে  রিমান্ড মঞ্জুর করেন । শারমিন জাহানকে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল  বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) নকল মাস্ক সরবরাহ করে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়ার দায়ে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায়  মামলা রুজু করে।

বিএসএমএমইউ

মামলার আসামি শারমিন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগের কমিটিতে একই উপ-কমিটির সহসম্পাদক ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত তিনি। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জের গোহালকান্দায়। তিনি মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী।

মামলায় বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর মো. মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, গত ২৭ জুন শারমিন জাহানকে ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যাদেশের বিপরীতে ৩০ জুন প্রথম দফায় ১ হাজার ৩০০টি; ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০টি ও ১ হাজারটি এবং ১৩ জুলাই চতুর্থ দফায় ৭০০টি মাস্ক সরবরাহ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় লটের মাস্কে কোনো সমস্যা ছিল না। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় লট বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায় এবং মাস্কের গুণগত মান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায় নি। কোনো মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে, কোনো কোনো মাস্কের নিরাপত্তা কোড ও লট নম্বর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে নকল বলে জানা গেছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে মাস্কের গুণগত মান নিম্নমানের ছিল। মামলায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিন জাহানকে ১৮ জুলাই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল। শারমিন ২০ জুলাই দেওয়া জবাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন যা দোষ স্বীকারের শামিল। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ করেছে।

এন-৯৫ মাস্ক

গ্রেপ্তারের আগে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শারমিন জাহান সাংবাদিকদের  বলেছিলেন, তিনি নকল মাস্ক সরবরাহ করেন নি। বিএসএমএমইউ’র  একজন সহকারী পরিচালক পণ্যগুলো যাচাই করে গ্রহণ করেছেন। এত দিন পর এসে তাঁরা বলছেন পণ্যে ত্রুটি ছিল। এটা ঠিক নয়। শারমিনের দাবি, মাস্ক তিনি প্রস্তুত করেন না। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এনে সরবরাহ করেন। সে ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি যদি থেকেও থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বদলে দেওয়ার কথা বলতে পারত। কিন্তু তা না করেই তারা মামলা করে দিল। তিনি এখানে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এনএম/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।