ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা: সতর্ক পুলিশ
(last modified Mon, 27 Jul 2020 09:34:11 GMT )
জুলাই ২৭, ২০২০ ১৫:৩৪ Asia/Dhaka

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হতে পারে-এরকম আশঙ্কার কারণে পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।  আজ ঢাকার এবটি অনলাইন দৈনিক এ খবর দিয়েছে।

চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে  জানানো হয়েছে, দেশে হত্যাকাণ্ড, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদলে গঠিত নব্য জেএমবির সদস্যরা। এ জন্য পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের কোনো টিম, স্থাপনা বা যানবাহনসহ বিমানবন্দর, তিন দেশের দূতাবাস কিংবা সংশ্লিষ্ট বিশেষ ব্যক্তি অথবা শিয়া-আহমদিয়া উপাসনালয়, মাজার কেন্দ্রিক মসজিদ, চার্চ, প্যাগোডা ও  মন্দিরকে টার্গেট করা হতে পারে। হামলার সম্ভাব্য  সময়ও অনুমান করা  হয়েছে   সকাল ৬-৭টা অথবা সন্ধ্যা ৭-১০টার মধ্যে।

পুলিশ সদর দপ্তর 

গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে পুলিশ সদর দপ্তর আরও জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার চেহারা ক্লিন শেভড থাকতে পারে, গোফহীন হতে পারে। তার পরনে শার্ট/টিশার্ট, প্যান্ট, ক্যাপ মাস্ক, কেডস এবং পেছনে ব্যাকপ্যাক থাকতে পারে। হামলার সময় হামলাকারী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয়-বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে  পুলিশ  সদর দপ্তর  জানিয়েছে, তথাকথিত আইএস কথিত ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণত বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমেই এ ধরনের ঘোষণা দেয়া হয়। এই অবস্থায় আইএসের দেশীয় অনুসারী নব্য জেএমবির সদস্যরা হামলা পরিচালনাসহ যে-কোনো জঙ্গি হামলা বা বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাই পুলিশের সকল ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। চিঠিতে উগ্রপন্থি বা তাদের সংগঠনের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি, পুলিশের সবাইকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা, পুলিশের গাড়ি-স্থাপনা খালি বা পরিত্যক্তভাবে ফেলে না রাখা, পুলিশের ভবনগুলোতে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা ও পরিচয় নিশ্চিত করা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা, চেকপোস্টে তল্লাশি বাড়ানো, সন্দেহ হলে ব্যাগ-দেহ তল্লাশি করা, এমনকি সন্দেহজনক এলাকায় ব্লক রেইড করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এনএম/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ