কোরবানির চামড়ার দামে বিপর্যয়: পরস্পরকে দুষছেন ট্যানারি মালিক এবং আড়তদাররা
সরকারিভাবে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং চামড়া রপ্তানির ঘোষণার পরও এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দামের বিপর্যয় ঠেকানো যায় নি। রাজধানীতে গরুর চামড়া আকারভেদে ১৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতিটি ছাগলের চামড়ার দাম জুটেছে ২ থেকে ১০ টাকা।
দেশে করোনা মহামারি,বন্যার দুর্যোগ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দর বিপর্যয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দর নির্ধারণ করে সরকার। এবার গত বছরের চেয়েও প্রায় ২৩ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দর নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত এই দর এবার গত দশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এরপরেও নির্ধারিত দরের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে চামড়া বেচাকেনা হয়েছে।
গতবার চামড়া কিনে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়েছেন। তাই এবার সেরকম ব্যবসায়ীরা মাঠে ছিলেন তুলনামূলক কম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রেতারা জানিয়েছেন,তারা চামড়া বিক্রির জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু কোনো ক্রেতা আসছে না। স্থানীয় পর্যায়ের ক্রেতাদের কেউ কেউ এলেও দাম বলছেন খুবই কম।
আড়তদার ও ট্যানারির মালিকরা বলছেন,চলতি বছর গতবারের চেয়ে ৩০-৩৫ শতাংশ কম চামড়া সংগ্রহ হবে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, নির্ধারিত দরের চেয়ে কম দামে বেচাকেনার দায় আমাদের নয়। আমরা সবাইকে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে বলেছি। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করলে নির্ধারিত দামে ট্যানারিগুলো চামড়া কিনবে।
বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার,লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেছেন,ট্যানারি মালিকরা যারা নির্ধারিত দরের চয়ে অনেক দাম কমিয়ে কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে তদারকিতে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রতিবছর ট্যানারি মালিকদের দোষারোপ করার খেলা চলছে। এটা হতে পারে না। মধ্যস্বত্বভোগিরা (আড়তদার) অতিমুনাফা করতেই চামড়ার দাম কমিয়ে কিনছেন।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/২