সিনহা হত্যা মামলা: ৪ পুলিশ সদস্য ও ৩ সাক্ষীর ৭ দিনের রিমান্ড
(last modified Wed, 12 Aug 2020 07:13:21 GMT )
আগস্ট ১২, ২০২০ ১৩:১৩ Asia/Dhaka
  • সিনহা হত্যা মামলা: ৪ পুলিশ সদস্য ও ৩ সাক্ষীর ৭ দিনের রিমান্ড

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় তাঁর বোনের করা হত্যা মামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ (বুধবার) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। রিমান্ড মঞ্জুর করা চার পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। অপর তিনজন হলেন মো. আয়াছ, মো. নুরুল আমিন ও মো. নাজিমুদ্দিন। তাঁরা মেজর সিনহার মৃত্যুর পর টেকনাফ থানায় পুলিশের করা দুটি মামলার সাক্ষী। গতকাল তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

গত ৬ আগস্ট মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ২ নম্বর আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও ৩ নম্বর আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালত। অন্যদিকে  সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগারের জেলগেটে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। পরদিন ১০ আগস্ট তাঁদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে র‍্যাব। আদালত আজ আদেশ দেন।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে।

পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ