মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ৩ জন রিমান্ডে, এপিবিএন’র ৩ সদস্য গ্রেফতার
(last modified Tue, 18 Aug 2020 06:15:56 GMT )
আগস্ট ১৮, ২০২০ ১২:১৫ Asia/Dhaka
  • ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (গোল চিহ্নিত)
    ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (গোল চিহ্নিত)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তিনজনকে র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হক।

অন্যদিকে, গত ৩১ আগস্ট ঘটনাস্থল শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী তিন এপিবিএন সদস্যের ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

এপিবিএনের এ তিন সদস্য হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান 

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এ তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি আর রামু থানায় একটি মামলা করে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ঘটনার দিন এপিবিএনের ওই তিন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

সিনহাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এঁদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক। বাকিদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ ছাড়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় র‍্যাব।

ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশ জানায়, সিনহা হত্যা মামলায় মোস্তফা ও টুটুল নামে যে পুলিশ সদস্যদের কথা বলা হয়েছে, এই নামে তাদের কোনো পুলিশ সদস্য নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ