কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১২ রোহিঙ্গা আহত
-
রোহিঙ্গা ক্যাম্প
বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরাতন ও নতুন রোহিঙ্গাদের দু’দফা সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নুর আলম নামে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে প্রথমে কক্সবাজার পরে চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া, সংঘর্ষের ঘটনার পর তিন জন রোহিঙ্গা অপহরণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ (রোববার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ২নং পূর্ব-পশ্চিম ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. আতিকুল ইসলাম জানান, কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপের সঙ্গে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে ইয়াবা পাচার ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার ফাঁকা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে এটি প্রকাশ্যে রূপ নেয়। আজও থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ২০টিরও বেশি ঝুঁপড়ি ঘর এবং বেশ কয়েকটি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ট্যাংক ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজিষ্ট্রার্ড ও আনরেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের দুই গ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বুধবার থেকে দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রোববার আবারো ঘটনা ঘটে লম্বাশিয়া মাস্টার মুন্না এবং হাফেজ জাবের ও সাইফু্র গ্রুপের মধ্যে। এতে মুন্না গ্রুপের পাঁচ জন আহত হয়। এছাড়া তিন জন অপহরণ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এর আগে শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ সাত জন আহত হয়েছে। দুই মহিলাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৩০