সিনহা হত্যার প্রতিবেদন জমা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন দুঃখজনক ঘটনা
(last modified Mon, 07 Sep 2020 13:41:35 GMT )
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০ ১৯:৪১ Asia/Dhaka

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান-এর হত্যার তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাটিকে দু:খজনক বললেও;সেটি তাৎক্ষণিক না পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে তা জানাতে অস্বীকার করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ তার দপ্তরে এ সংক্রান্ত  রিপোর্টটি  গ্রহণ করে  জানান,মামলা তদন্তাধীন থাকায় প্রতিবেদন এখনই প্রকাশ করা হবে না। 

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আমরা কমিটিকে কিছু গাইডলাইন দিয়েছি। হত্যার কারণ উদঘাটন করে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে,তার জন্য সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ আমরা বাস্তবায়ন করব।’

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ

এর আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনার দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। 

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৬ টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,এ ঘটনায় আলাদাভাবে সরকারের কাছে কোন সুপারিশ করবে না সেনাবাহিনী।

মেজর অব. সিনহা মো. রাশেদ

উল্লেখ্য,গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঐ ঘটনা তদন্তে ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার-সদস্যের একটি  কমিটি   গঠন করে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ হত্যার ঘটনায়  সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও  তিন দফা সময় বাড়িয়ে একমাসের আধিকাল সময়  নেওয়া হয়। আজ  সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(উন্নয়ন)মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির সদস্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি লে. কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন।

এর মাঝে শামলাপুর চেকপোস্ট পরিদর্শন,গণশুনানি ও জেলগেটে ওসি প্রদীপের বক্তব্য গ্রহণ করেছে এই তদন্ত কমিটি।জানা গেছে,৮০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে ১৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।  

তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান,ঐ ঘটনার কারণে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ম্লান হবে না। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে হত্যাকাণ্ডের উৎস,কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে বিস্তারিত সুপারিশ রয়েছে।

এর আগে টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে  র‍্যাব। অভিযুক্তদের কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/৭ 

ট্যাগ