সীমান্তে মানুষ হত্যা হচ্ছে, সরকার নিশ্চুপ: বিএনপি নেতা রিজভীর অভিযোগ
-
বিএনপি নেতা রিজভী
বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘সীমান্তে মানুষ হত্যা হচ্ছে, সরকার নিশ্চুপ।
আজ নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এত করুণ, দেশের সার্বভৌমত্ব এত দূর্বল যে প্রায় প্রতিদিনই বর্ডারে মানুষ মারছে, মানুষ হত্যা করছে, মানুষ রক্তাক্ত করছে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী)। এত নতজানু সরকার যে একটা প্রতিবাদও করতে পারছে না এটার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই চাপাই নবাবগঞ্জের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, সুনামগঞ্জের বর্ডারে একজন গু্লিবিদ্ধ হচ্ছে, না হয় লালমনিরহাটের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, না হলে মেরে ফেলা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলে সীমান্তে মানুষ মারা যায় কীভাবে? অর্থাৎ এই কথাটার মধ্যে তাদের যে আনুগত্য কত নিম্ন পর্যায়ের এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়েছে।‘
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। বিএনপির নীতি হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশ, দূরবর্তী দেশ সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। তবে নিজের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে নয়। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য নিজের দেশের স্বার্থকেও তিনি বিসর্জন দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে জাতির জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের একদিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে নিচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জামিন পাচ্ছে। এক দেশে আইনের দুইরকম প্রয়োগ হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে যখন এক মামলায় জজ সাহেব খালাস করে দিলেন সেই বিচারককে পালিয়ে যেতে হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘আইন, বিচার, প্রশাসন, আইনি প্রক্রিয়া- সব কিছু সরকার প্রধানের নির্দেশে চলছে। তিনি যাকে পছন্দ করে না তাকে জেলে যেতে হবে, তাকে মামলায় পড়তে হবে, সে নিরুদ্দেশ হবে, সে গুম হবে।’#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/রেজওয়ান হোসেন/১৩