এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i86592-এইচএসসি_ও_সমমান_পরীক্ষার_ফল_প্রকাশ_বিরূপ_মন্তব্য_না_করার_আহ্বান_প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে আইন সংশোধনের পর আজ (শনিবার) একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
জানুয়ারি ৩০, ২০২১ ১১:৩৬ Asia/Dhaka
  • শেখ হাসিনা
    শেখ হাসিনা

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে আইন সংশোধনের পর আজ (শনিবার) একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এবার পাস করেছেন শতভাগ শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী। এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ এর হার বেড়েছে। ২০১৯ সালে এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী।

ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষা না হওয়া বা সবকিছু নিয়ে এসব পরীক্ষার্থীদের এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা ও ফল নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত। মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে হবে, যেন তারা হতাশ হয়ে না পড়ে। আপনারা শিশুদের হতাশায় ফেলবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি তাদের শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর যেন না হারিয়ে যায়। সেটিই লক্ষ্য ছিল। সে কারণেই পরীক্ষা না হলেও তাদের উত্তীর্ণ হচ্ছে। তাদের আগের শিক্ষাজীবনের ফলের ভিত্তিতে ফল তৈরি করা হয়েছে। আমি আশা করব, তারা পরবর্তী সময়ে নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই উচ্চশিক্ষা নেবে।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।

এরপর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হল।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩৯