রোগী আরও বাড়লে চিকিৎসা জুটবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
-
সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। রোগী বাড়লে হাসপাতালে জায়গা থাকবে না; মানুষ চিকিৎসা পাবে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন সারা দেশে ৭ হাজার রোগী করোনা চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনা রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। ঢাকায় করোনা রোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড রয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছ। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে।
‘দেশে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারত অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করলো তিন/চার দিন হলো। এর আগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করা হতো ভারত থেকে। দেশে ১৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতা আছে। আমাদের সর্বোচ্চ লাগলে প্রতিদিন ১৫০ টন লাগতে পারে। লিকুইড অক্সিজেন ছাড়াও ২৫০ থেকে ৩০০ টন অক্সিজেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা এগুলোকে লিকুইডে কনভার্ট করবো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সেক্টরে আরও ৪০ টন অক্সিজেনের ব্যবহার হয়। আমরা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করবো।
তিনি বলেন, হাসপাতালে যদি সাত হাজার রোগী ভর্তি থাকে তাহলে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না। যদি ২১ হাজার রোগী ভর্তি হয় তাহলে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকবে। তখন আমাদের পক্ষে সমাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৭