চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির অবস্থাও তথৈবচ
ইসরাইলি হামলার কারণে রাফায় খাদ্য বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে আনরোয়া
ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা এবং সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় খাদ্য বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা আনরোয়া। এর ফলে চরম দুর্দশায় পড়া ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার এই সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফার ২৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রের মাত্র সাতটি চালু রয়েছে এবং রাফা ও কেরেম শ্যালম ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাধার কারণে এসব কেন্দ্র আবার গত ১০ দিনে কোনো চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ পায়নি।
মানবাধিকার কর্মীরা ওই দুই ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইসরাইলি হামলার ভয়ে রাফা থেকে কয়েক লাখ মানুষ সরে যাওয়ার পর এখনও এই শহরে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার ইসরাইলি গণহত্যায় উপত্যকা জুড়ে নারী ও শিশুসহ ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও সতর্কতা সত্ত্বেও রাফা শহরে স্থল আগ্রাসন চালাতে বদ্ধপরিকর দখলদার ইসরাইল।
গত সাত মাস ধরে গাজা উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে রাফায় পালিয়ে আসা মানুষগুলোর মধ্য থেকে আবার অন্তত নয় লাখ ফিলিস্তিনি এই শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এক সময় গাজার মধ্যাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর খালি করে সবাই রাফায় সরে আসলেও আনরোয়া বলছে, এখন সবাই আবার খান ইউনিসে আশ্রয় নেয়ার কারণে সেখানে মানুষের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। শহরটিতে শরণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রাফার পাশাপাশি উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় রাফা সিটিতেও গত কয়েকদিনে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি পাশবিকতায় ৩৫,৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।