উত্তর প্রদেশ ও ওড়িশায় বাংলাদেশি সন্দেহে হামলা, অগ্নিসংযোগ: গ্রেফতার ২
(last modified Sun, 11 Aug 2024 12:09:39 GMT )
আগস্ট ১১, ২০২৪ ১৮:০৯ Asia/Dhaka
  • গাজিয়াবাদে হামলা
    গাজিয়াবাদে হামলা

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনপরবর্তী ঘটনা নিয়ে ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের অপপ্রচারের পর উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এই গাজিয়াবাদের কাছেই অবস্থান করছেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হিন্দু রক্ষা দল (এইচআরডি) নামে একটি সংগঠন গত শুক্রবার কথিত বাংলাদেশিদের উপর হামলার অভিপ্রায়ে মধুবন বাপুধাম থানা এলাকার গুলধর রেল স্টেশনের পাশে বস্তিতে হামলা করে। ১৫/২০ জনের দল পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। মুসলিম নাম ও পরিচয় চিহ্নিত করে মারধর করতে থাকে।

গতকাল গাজিয়াবাদের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্ত এইচআরডি দলের প্রধান ভূপেন্দ্র তোমর ওরফে চৌধুরী এবং বাদল ওরফে হরি ওমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

ঘটনার দায় স্বীকার করে পিঙ্কি চৌধুরী বলেন, ‘আমার সঙ্গে এইচআরডি সদস্যরা এই ঘটনায় জড়িত ছিল। আমরা হামলার সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করছি। আমরা আরও জানি যে পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং একটি অনুলিপি আমাদের কাছে আছে।’ 

তিনি বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, সারা দু'নিয়া নীরব রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে ব্যবস্থা না হাল ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মানুষ।"

তবে, গাজিয়াবাদ পুলিশ জানায়, যাদের উপর হামলা হয়েছে তারা কেউ বাংলাদেশি নয়, তারা শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। পিংকি চৌধুরিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, ভারতের ওড়িশায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বাঙালি শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকে ফোন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গেছে, সাইকেলে মনোহারি সামগ্রী বিক্রি করা এক বিক্রেতাকে মারধর করছেন এক ব্যক্তি। বিক্রেতার আধার কার্ড দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আধার কার্ড দেখাতে না পারায় চলছে মারধর।

নবান্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দ বাজার জানিয়েছে, বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই সেই রাজ্যে বসবাসকারী কয়েকজন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতির কথা খবর পেয়েই ওড়িশার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মাঝিকে ফোন করেন মমতা। এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। খবরে বলা হয়েছে, ওড়িশা সরকারের মাধ্যমে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসে এই রাজ্যেই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।#

পার্সটুডে/এমএআর/১১

ট্যাগ