ভারতকে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট দেবে না বাংলাদেশ: প্রস্তাব বাতিল
https://parstoday.ir/bn/news/event-i144616-ভারতকে_ব্যান্ডউইথ_ট্রানজিট_দেবে_না_বাংলাদেশ_প্রস্তাব_বাতিল
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহে বাংলাদেশকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। কারণ হিসেবে ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দুর্বল হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪ ১৫:০৯ Asia/Dhaka
  • ভারতকে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট দেবে না বাংলাদেশ: প্রস্তাব বাতিল

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহে বাংলাদেশকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। কারণ হিসেবে ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দুর্বল হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী গত বৃহস্পতিবার বলেন, 'গাইডলাইন অনুযায়ী এ ধরনের "ট্রানজিট" ব্যবস্থা দেওয়ার কোনো বিধান নেই।' এরপরই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত সপ্তাহে টেলিকম মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাদের আগের আবেদনটি প্রত্যাহার করতে বলে।

বিটিআরসির নথি অনুযায়ী, এ ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হবে এবং ভারত এখানে শক্তিশালী হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ভারত লাভবান হবে।

গত বছর ভারতের  টেলিকম সংস্থা ভারতী এয়ারটেল মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের জন্য সামিট কমিউনিকেশনস এবং ফাইবার অ্যাট হোম আবেদন করলে বিটিআরসি এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের পাঁচ বারের সংসদ সদস্য ফারুক খানের ছোট ভাই সামিট কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ খান একইসঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ফাইবার অ্যাট হোম ছিল অন্যতম সুবিধাভোগী। সরকারি চুক্তি ও লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা সামিট কমিউনিকেশন্সের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

দুই আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল অপারেটর বিটিআরসির অনুমতি চাওয়ার আগে, আগের বছর ভারতী এয়ারটেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে। এতে তারা আখাউড়া হয়ে আগরতলাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও কুয়াকাটার সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে কানেক্ট করে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।

বলা হয়, এই ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট হিসাবে কাজ করবে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের জন্য দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হবে।

বর্তমানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত রাজ্যগুলো চেন্নাইয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্ত। চেন্নাইয়ের সাবমেরিন কেবল প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই সুবিধা দিয়ে থাকে।#

পার্সটুডে/জিএআর/৭