সিরিয়ার আরো বেশি অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেছে ইসরাইলি বাহিনী
https://parstoday.ir/bn/news/event-i144802-সিরিয়ার_আরো_বেশি_অভ্যন্তরে_অনুপ্রবেশ_করেছে_ইসরাইলি_বাহিনী
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গোলান মালভূমির আরো ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী। এর মাধ্যমে মানবতার শত্রু ইসরাইল সিরিয়ার ওপর নিজের দখলদারিত্বকে আরো বিস্তৃত করেছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪ ১৪:৫২ Asia/Dhaka
  • সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসরাইলি বাহিনী
    সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসরাইলি বাহিনী

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গোলান মালভূমির আরো ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী। এর মাধ্যমে মানবতার শত্রু ইসরাইল সিরিয়ার ওপর নিজের দখলদারিত্বকে আরো বিস্তৃত করেছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগে ইসরাইলি সেনারা সিরিয়ার বিরুদ্ধে যে নজিরবিহীন আগ্রাসন শুরু করেছে তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দেশটির কুনেইত্রা প্রদেশের আল-হুররিয়্যা শহরে প্রবেশ করেছে। 

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইহুদিবাদী বাহিনী কুনেইত্রা প্রদেশের রাসেম আল-রুওয়াদি গ্রামের সকল অধিবাসীকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে বুধবার দখলদার ইসরাইলি সেনারা ওই প্রদেশের দুই মফস্বল শহর রুওয়াইহিনা ও উম-বাতনা দখল করে নেয়।

দখলদার সেনারা শহরগুলোর অধিবাসীদের একথা বলে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে যে, এগুলোকে তারা কথিত বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করবে। এই দখলদারী অভিযানে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংক ও পদাতিক ইউনিটগুলো অংশ নেয়।

ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাতজ ১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তের অভ্যন্তরে বিশাল এলাকাকে কথিত বাফার জোনের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়ার পর এ আগ্রাসন চালানো হলো।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর প্রায় ৫০০ বিমান হামলা চালিয়েছে। অথচ সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইল যুদ্ধাবস্থায় নেই বরং ১৯৭৪ সাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রয়েছে। জাতিসংঘের একটি সূত্র জানিয়েছে, দখলদার বাহিনী গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

তবে ইসরাইলের এসব আগ্রাসনের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো রহস্যজনক নীরবতা অবলম্বন করছে। বাশার আল-আসাদকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিও এ ব্যাপারে মৃত্যুসম নীরবতা পালন করছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৩