‘সবশেষ যে ব্যক্তি সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেছে তিনি একজন ইরানি যোদ্ধা’
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করা যুক্তিসঙ্গত ছিল না: ইরানি কমান্ডার
-
মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি
সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অগ্রাভিযানের মুখে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।
তিনি বলেছেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী যখন প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল তখন ইরানের একার পক্ষে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার যৌক্তিক কোনো কারণ ছিল না।
তিনি বৃহস্পতিবার তেহরানে এক বক্তব্যে বলেন, “কেউ কেউ আশা করেছিলেন, আমরা সিরিয়ার সেনাবাহিনীর জায়গায় যুদ্ধ করব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যখন একটি দেশের সেনাবাহিনী নিছক প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকা নিয়েছে তখন কি এটা যুক্তিসঙ্গত যে, আমরা আমাদের বাহিনী নিয়ে সেই সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করব? এছাড়া, সিরিয়ায় আমাদের প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ করে ফেলা হয়েছিল। তা না হলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষে যা কিছু করার ছিল তার সবই করা হয়েছে।”
ইরান সিরিয়ার বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়েছে এবং বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জেনারেল সালামি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “অবশ্য আমি গর্বের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি, সিরিয়ার প্রতিরোধ ফ্রন্ট ত্যাগকারী সর্বশেষ বাহিনী ছিল আইআরজিসি এবং সবশেষে যে ব্যক্তি ওই যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেছে সে ছিল একজন আইআরজিসি যোদ্ধা।”
সিরিয়াসহ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইরানের কৌশলে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার। তিনি বলেন, “আমরা সুনির্দিষ্ট ছকে থেকে এবং অপরিবর্তিত কৌশল নিয়ে অসংখ্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান করতে পারব না।” ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় জানান জেনারেল সালামি।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৩