প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিবৃতি
'নারীদের কাজে বিধিনিষেধ আরোপে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল খেলাসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের বাধা প্রদানের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানানো হয়েছে এক বিবৃতিতে।
আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এ বিবৃতিতে বলা হয়, 'নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।'
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, 'কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন।
'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।'
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভূক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলাতেও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে, প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।'#
পার্সটুডে/জিএআর/৩০