'খুলতে পারে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং'
৩ ইসরাইলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর, বিনিময়ে মুক্তি পেলেন ১৮৩ ফিলিস্তিনি
-
(বাম থেকে) ওফার কালদেরন, ইয়ার্দেন বিবাস এবং কেইথ সিগেল
যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় চতুর্থ দফায় আরও তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার দিন এই তিনজনকে অন্যদের সঙ্গে বন্দি করা হয়েছিল।
আজ (শনিবার) বিকেলে ইসরাইলি বন্দি ইয়ার্দেন বিবাস (৩৪), ওফার কালদেরন (৫৩) এবং কেইথ সিগেলকে (৬৫) রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
প্রথমে ফ্রেঞ্চ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক ওফার কালদেরন ও ইয়ার্ডেন বিবাসকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর গাজা সিটি থেকে ছাড়া হয় মার্কিন-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক কেইথ সিগেলকে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কয়েকশ' হামাস যোদ্ধা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভিড় সামলান। এসময় মুক্তিপ্রাপ্ত কালদেরন, বিবাস ও সিগেলকে জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে কৃতজ্ঞতা জানান।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজা যুদ্ধে শহীদ হামাস নেতাদের ছবি বহন করেন, যার মধ্যে আল কাসসাম ব্রিগেডস-এর কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের ছবিও ছিল। এসময় হামাস যোদ্ধারা অস্ত্র উঁচিয়ে 'আমরা মোহাম্মদ দেইফের লোক' অস্ত্র স্লোগান দেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তিন বন্দি ইতোমধ্যে ইসরাইলে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৯ জানুয়ারি হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আজ (শনিবার) ইসরাইল ১৮৩ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। আজ মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে কয়েকজন যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের বহনকারী বাসগুলো দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে পৌঁছে। সেখানে তারা তাদের পরিবারের সাথে একত্রিত হন। বাসগুলোকে ঘিরে বিশাল জনতা থাকায় আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে, অসুস্থ ও গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য আজই গাজা ও মিশরের মাঝে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংও খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শুরুতে ৫০ অসুস্থ ফিলিস্তিনিকে ক্রসিংটি অতিক্রমের অনুমতি দেওয়া হবে, প্রত্যেক অসুস্থ ফিলিস্তিনির সঙ্গে তার পরিবারের তিন সদস্যও সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পাবে। ক্রসিংটি খুলে দেওয়া হলে গাজামুখী ত্রাণও এই পথ ব্যবহার করতে পারবে।
দীর্ঘ ১৫ মাস হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ চলার পর তা বন্ধের চেষ্টায় গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম তিন দফায় ১৫ ইসরাইলি বন্দি ও কয়েকশ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।#
পার্সটুডে/এমএআর/১