‘যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন দিতে হবে’
ইউক্রেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে আমেরিকা: রিপোর্ট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওয়াশিংটন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় বলেও মার্কিন বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত কেইথ কেল্লগ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের যেসব নির্বাচন স্থগিত রয়েছে সেগুলো অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশে যুদ্ধের ভেতরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাই আমি মনে করি ইউক্রেনেও নির্বাচন জরুরি।”
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন আরো দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কেল্লগসহ হোয়াইট হাউজের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা ইউক্রেনকে একথা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিরতি দেয়ার জন্য আগে নির্বাচন দিতে হবে।
ট্রাম্প ও কেল্লগ দু’জনেই দাবি করেছেন, তারা নয়া প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার একটি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হবেন। তবে পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য এর আগে বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে তিনি নির্বাচন দিতে পারেন তবে শর্ত হচ্ছে, রাশিয়া আবার যুদ্ধ শুরু করবে না এমন কঠিন গ্যারান্টি দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ইউক্রেনের আইন অনুযায়ী, সামরিক শাসন জারি থাকা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট বা পার্লামেন্ট নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর জেলেনস্কি তার দেশে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। চলতি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পূর্তি হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এত দীর্ঘ যুদ্ধ আর হয়নি। #
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ৩