সিরিয়ার উপর হামলার নিন্দা, ইসরায়েল আঞ্চলিক শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি: ইরান
-
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি সিরিয়ার উপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন: এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে ইসরাইলের দ্বারা বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টির ইঙ্গিত দেয় যারা সিরিয়ার ভূখণ্ডের কিছু অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন করে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি "আমির সাঈদ ইরাভানি", স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে সিরিয়ার উপর ইসরায়েলি আক্রমণ সম্পর্কে বলেন: "এই সামরিক আগ্রাসন এমন সময় ঘটছে যখন ইসরায়েলের দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে। কয়েক দশক ধরে, ইসরায়েল এই অধিকৃত অঞ্চলে অবৈধভাবে সংযুক্তি এবং বসতি সম্প্রসারণের কাজ অব্যাহত রেখেছে, যদিও এই পদক্ষেপগুলো জাতিসংঘের সনদ এবং অসংখ্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।"
ইরাভানি আরও বলেন: ইসরায়েল আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুতর এবং বিপজ্জনক হুমকি হয়ে উঠেছে। এর কারণ হল, তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা, সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ থেকে নিঃশর্ত রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা পাওয়া। এই সরকারগুলোকে অবশ্যই ইসরায়েলের অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং জঘন্য অপরাধগুলিকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে হবে, যা কিনা শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তাই নয় বরং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন: সিরিয়ার উপর হামলা নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষমতার প্রত্যক্ষ ফলাফল। ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন বারবার লঙ্ঘনের জন্য কখনও কোনও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয়নি এবং সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সাথে তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরাভানি বলেন: ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ১২ দিনের সামরিক অভিযান জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ এবং নিঃশর্ত সমর্থনে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সুরক্ষার অধীনে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি হাসপাতাল এবং আবাসিক এলাকা সহ বেসামরিক অবকাঠামোও ধ্বংস করেছে। এই অবৈধ হামলার ফলে ১,১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন, যাদের মধ্যে ৪১ জন শিশু এবং ১২৬ জন মহিলা ছিলেন। এই আগ্রাসনের ফলে সাতটি হাসপাতাল, এগারোটি অ্যাম্বুলেন্স এবং ৩,৫০০ টিরও বেশি আবাসিক ইউনিট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এ ঘটনা ইসরায়েলের আগ্রাসী চরিত্রকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।