ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিতের ঘোষণা জার্মানির
দখলদার ইসরায়েলের তথাকথিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অবৈধ রাষ্ট্রে সমস্ত সামরিক রপ্তানি স্থগিত করেছে জার্মানি। বিধ্বস্ত গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো অস্ত্রই ইসরায়েলের কাছে রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্লিন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মেরৎস এই ঘোষণা দিয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরৎস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন " ইসরায়েল যে সামরিক পরিকল্পনা করছে তাতে তাদের লক্ষ্য কিভাবে অর্জন হবে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জার্মান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধ থাকবে।"
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জার্মানি ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর অস্ত্র আমদানির এক তৃতীয়াংশ সরবরাহ করেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র বিক্রির পরেই দ্বিতীয়।
স্থগিতাদেশের ফলে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক গাজা যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন সিস্টেমের রপ্তানি অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং নৌ সরঞ্জাম। মেরৎস তেল আবিব সরকারকে গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "জার্মান সরকার গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের চলমান দুর্ভোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পরিকল্পিত আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েলের সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব আগের চেয়েও বেশি।"
মেরৎস জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য এনজিওসহ ত্রাণ সরবরাহের জন্য ব্যাপক প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে ইসরায়েলকে "গাজার মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপক এবং টেকসই সমাধান অব্যাহত রাখতে হবে।" জাতিসংঘ এবং ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সহায়তার সীমিত প্রবেশাধিকারের ইঙ্গিত দেওয়ার পর ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য জার্মানিতে ক্রমবর্ধমান জনসাধারণের চাপের প্রতিক্রিয়ায় মেরৎসের এই ঘোষণা এসেছে।#
পার্সটুডে/এমবিএ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।