বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i151944-বিষ_খাইয়ে_খুনের_অভিযোগে_প্রেমিকের_বিরুদ্ধে_থানায়_মামলা
ভারতের যাদবপুরকাণ্ডের পরদিনই আদিবাসী ছাত্রী অনিন্দিতা সরেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মালদহে!
(last modified 2025-09-13T11:15:39+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫ ১৬:৫৯ Asia/Dhaka
  • অনিন্দিতা সরেন
    অনিন্দিতা সরেন

ভারতের যাদবপুরকাণ্ডের পরদিনই আদিবাসী ছাত্রী অনিন্দিতা সরেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মালদহে!

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই নিহত ছাত্রী আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রেমিকের সঙ্গে অশান্তির জেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই তরুণী। যদিও পরিবারের দাবি, মেয়েকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, নিহত জুনিয়র ডাক্তার অনিন্দিতা সরেন (২৪)'র বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। শুক্রবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থী এক যুবকের সঙ্গে অনিন্দিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুরুলিয়ার বাসিন্দা ওই যুবকের দাবি, পুরীর মন্দিরে গিয়ে তারা বিয়েও করেছিলেন। অনিন্দিতার মা আল্পনা টুডুর অভিযোগ, সম্প্রতি তার মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা জানতে পেরে মা দু’জনকে সামাজিক মতে বিয়ে করে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

অনিন্দিতা তাতে রাজি হন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপও দিতে শুরু করেন। কিন্তু প্রেমিক তাতে রাজি ছিলেন না। তিনি অনিন্দিতাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। এর পর ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্কে তিক্ততা আসে বলে দাবি করা হয়। এ অবস্থায় চারদিন আগে অনিন্দিতা প্রেমিকের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করার জন্য মালদহে যান।

গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১১টা নাগাদ ফোনে অনিন্দিতার পরিবারকে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে পরিজনেরা দেখেন, ততক্ষণে মেয়ের মুখ থেকে গ্যাঁজা বেরোচ্ছে। অনিন্দিতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এর পরেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে নিহত ছাত্রীর পরিবার।

আল্পনার দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁর প্রেমিকই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/জিএআর/১৩