লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩, বড় আকারের আগ্রাসনের হুমকি
-
দক্ষিণ লেবাননের শেবা শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় গাড়ির ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা।
দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গতকাল (শনিবার) দক্ষিণ লেবাননে একাধিক বিমান হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে। এর আগে লেবাননের বিরুদ্ধে “বড় আকারের আগ্রাসন” চালানোর হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব।
লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুইজন ছিলেন শেবা শহরের দুই ভাই, যারা দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননের হারমোন পাহাড়ের ঢালে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বিমান হামলায় তাদের গাড়ি আগুন ধরে পুড়ে যায় এবং তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বারাআশিত গ্রামে আরেকটি হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব হামলা হিজবুল্লাহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা ২০২৪ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছিলেন।
তবে লেবাননের পক্ষ বলছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকেই ইসরায়েল এমন অজুহাতে প্রায় প্রতিদিনই নতুন হামলা চালাচ্ছে।
এর আগেও এনএনএ জানিয়েছিল, বিন্ত জবেইল শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন।
এই সাম্প্রতিক হামলাগুলো ঘটে ঠিক এক সপ্তাহ পর, যখন ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় যে, “হিজবুল্লাহ কোনো আক্রমণ চালালে, ইসরায়েল লেবাননে বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করবে।”
ওই রিপোর্টে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলের নিয়মিত প্রায় দৈনিক হামলার পক্ষে একই যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল যে, সামরিক বাহিনী বর্তমানে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে "একটি ক্ষয়ক্ষতির যুদ্ধ" চালাচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বৈরুত সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে যেন তারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করে।
কিন্তু দশকের পর দশক ধরে একের পর এক বড় ইসরাইলি যুদ্ধের মুখে দেশটিকে রক্ষা করে আসা হিজবুল্লাহ তাদের অস্ত্র ত্যাগ করতে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, “যতদিন ইসরায়েলি দখল ও আগ্রাসনের হুমকি থাকবে, ততদিন আমরা দেশের প্রতিরক্ষায় আমাদের অস্ত্র হাতে রাখব।”#
পার্সটুডে/এমএআর/৯