আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু ওয়াশিংটন চায় নি: আরাকচি
https://parstoday.ir/bn/news/event-i154660-আমরা_চুক্তির_খুব_কাছাকাছি_ছিলাম_কিন্তু_ওয়াশিংটন_চায়_নি_আরাকচি
পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি  বলেছেন: মার্কিন পক্ষ যদি পারস্পরিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তির জন্য তাদের প্রস্তুতি প্রমাণ করে, তাহলে ইরান অবশ্যই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে। 
(last modified 2025-12-02T13:00:13+00:00 )
ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ ১৮:৫৪ Asia/Dhaka
  • আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু ওয়াশিংটন চায় নি: আরাকচি
    আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু ওয়াশিংটন চায় নি: আরাকচি

পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি  বলেছেন: মার্কিন পক্ষ যদি পারস্পরিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তির জন্য তাদের প্রস্তুতি প্রমাণ করে, তাহলে ইরান অবশ্যই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে। 

আল-আলম নিউজ নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, সম্প্রতি বিদেশি একটি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন: আমরা কখনও আলোচনার টেবিল ত্যাগ করি নি, কারণ কূটনীতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আরাকচি বলেন, মধ্যস্থতার বিষয়ে মাস্কাটে অনুষ্ঠিত আজকের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। ওমান আজ এমন একটি দেশ হিসেবে পরিচিত মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে যার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা এবং কণ্ঠস্বর রয়েছে।

মধ্যস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীর কূটনৈতিক ঐতিহ্য যা ওমান বহু বছর ধরে অনুসরণ করে আসছে। ওমানের এই ক্ষমতা থেকে উপকৃত দেশগুলোর মধ্যে ইরানও রয়েছে। ২০১০ সালে আমরা ওমানে আমেরিকার সাথে আলোচনা শুরু করি, যা একান্তে গোপনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই আলোচনার ফলে পরমাণু সমঝোতার (JCPOA) ওপর আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

আজও ওমানে একটি নরওয়েজিয়ান প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে মধ্যস্থতার ওপর আলোচনা হয়। আরাকচি বলেন: আলোচনাগুলো খুবই কার্যকর ছিল।

আরাকচি আরও বলেন: আলোচনা এবং মধ্যস্থতার দরজা সবসময় উন্মুক্ত এবং যে কোনও সময় সম্ভব, যদি নিয়মগুলো পালন করা হয়। কূটনীতি এবং আলোচনার প্রথম নীতি হল উভয় পক্ষই একটি ন্যায্য এবং সমমর্যাদার ভিত্তিতে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসা। তবে, যদি কোনও পক্ষ তাদের দাবি চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রাখে, তাহলে এ ধরনের আলোচনা হবে না এবং ফলপ্রসূও হবে না।

বারো দিনের যুদ্ধের আগের বৈঠকের ব্যাপারে জনাব আরাকচি বলেন: আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম, এবং ওমানের মধ্যস্থতায় পাঁচ দফা আলোচনায়, অসংখ্য সমাধান বের করা হয়েছিল। আমরা এমন সমাধানে পৌঁছেছিলাম যার মাধ্যমে সমস্যার অবসান হতে পারতো। কিন্তু ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ওই সমাধানগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধকামী শক্তিগুলো সেখানে জয়লাভ করেছিল, যে যুদ্ধ দেশ এবং অঞ্চলকে একটি দুঃখজনক পথে নিয়ে গিয়েছিল।

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন: আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে এটি সম্ভব নয় বরং একটি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে হবে। কোনও দেশকে তার বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না; তবে অবশ্যই, স্বচ্ছতা এবং আস্থা তৈরির দাবি করা যেতে পারে, আমরা সে ব্যাপারে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের মৌলিক অধিকার ত্যাগ করা কখনই কোনো বিকল্প নয়।#

পার্সটুডে/এনএম/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।