বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবের মত জেলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা: স্বপন মুজমদারের
(last modified Fri, 23 Dec 2022 15:02:34 GMT )
ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ২১:০২ Asia/Dhaka

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দাবি জানিয়ে বলেছেন তিনি বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের মতো জেলে যাবেন।

আজ (শুক্রবার) বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার পাল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েতের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। তিনি এদিন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল ও অন্য নেতাদের সম্পর্কে কুমন্তব্য করেন।

বিজাপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, টিএমসির বড় নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন গিধড় হয়ে গেছে। গিধড় না শুয়োর হয়ে গেছে। দেখতেও তো শুয়োরের মতো। কারণ, সে জনগণের কাছ থেকে এত কাটমানি খেয়েছে, গরু চোরাচালানে জড়িত  আছে, তাই তো তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়েছে। আর টিএমসি (তৃণমূল) তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, কীসের আশায়? মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপোকে বাঁচাবে তাই? সে গুড়ে বালি। খুব শিগগিরি অনুব্রত মণ্ডল দিল্লিতে যাবে। এবং দিল্লিতে গিয়ে তার ঝুলিতে যা আছে সব বিড়াল বেরোবে। আর বেরোনোর পরে আমরা আগামীদিনে দেখতে পাব, বিহারে যেমন  লালুপ্রসাদ (সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) চারা ঘোটালায় জেলখানায় ঢুকেছিল, এই বাংলাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে জেলখানায় যেতে হবে। সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর এই টিএমসির নেতাগুলো, চোরগুলো যারা ভাবে আমরা বাপের সম্পত্তি আমরা করে খাবো, সে দিন ভুলে যেতে হবে, জনগণ এখন জেগেছে। সাধারণ জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টনে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। টিএমসির নেতাগুলো ভিখারি থেকে নেতা হয়েছে। সেই ভিখারিগুলো এখন কী করবে? তারা গরীবের জন্য দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অনুদান খেয়ে বেঁচে আছে।’

‘ঘর বিলিতে যে অনিয়ম হয়েছে তার প্রতিবাদ জানালে কেউ যদি শাসানোর চেষ্টা করে, কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, সোজা চ্যালা কাঠ ধরবেন এবং গণধোলাই দেবেন’ বলেও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। 

এ প্রসঙ্গে পাল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিশীথ বালা বলেন, ‘কী ভাষা একজন বিধায়কের যে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারবে! এটা যদি বিধায়কের ভাষা হয় তাহলে কী হবে। ক্ষণিকের জন্য হাততালি পাওয়ার জন্য উনি এসব কথা বলেছেন। আমার কতটা যোগ্যতা, আমি কী জায়গায় আছি, আমি কী বলতে পারি কাউকে- এই সাধারণ রুচি জ্ঞান যদি না থাকে তার সম্পর্কে কথা বলা আমার রুচিতে বাধে। উনি নিজের দিকে কোনোদিন তাকিয়েছেন যে আমি কে? আমি কোথা থেকে এলাম? আমার আগেকার উপাধি কী ছিল? আমি কোন জেলে ছিলাম? উনি নিজে আগে বলুক নিজের কথা, যে আমি কোথায় কী করেছি। নিজের দিকে তাকাব না শুধু অন্যের কথা বলব তা হয়। আমি মাতাল, অন্য মাতালের বিচার করতে যাব তাই হয়? উনি মাতালের মত কথা বলছেন, সব কথার জবাব দিতে  আমাদের দিতে ভালো লাগে না।’   

‘বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কিছু ঘটতে পারে, কিন্তু আমাদের পাল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। আমি বিজেপি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেছি কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা দেখান, কিন্তু তারা কিছু বলতে পারেনি’ বলেও মন্তব্য করেন পাল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিশীথ বালা।       

পার্সটুডে/এমএএইচ//২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।