ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ, উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৬ দিনে মৃত ১০০
https://parstoday.ir/bn/news/india-i118140-ভারতের_বিভিন্ন_রাজ্যে_শৈত্যপ্রবাহ_উত্তর_প্রদেশের_কানপুরে_৬_দিনে_মৃত_১০০
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলার মধ্যে উত্তর প্রদেশের কানপুরে গত ছয় দিনে মোট ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
জানুয়ারি ০৭, ২০২৩ ১৭:৩৭ Asia/Dhaka
  • ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ, উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৬ দিনে মৃত ১০০

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলার মধ্যে উত্তর প্রদেশের কানপুরে গত ছয় দিনে মোট ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃতদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জন এবং ব্রেন অ্যাটাকের কারণে ১৭ জন রয়েছে। কানপুরে পারদ একটানা ৫ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। এ কারণে কানপুরে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দ্রুত বেড়েছে। গতকাল (শুক্রবার) ৭৮ জন হৃদরোগী জরুরী বিভাগে কার্ডিওলজি (এলপিএস ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স) এবং ৫৪৭ জন রোগী ওপিডিতে এসেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কার্ডিওলজিতে ৪৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এলপিএস ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজির ডিরেক্টর ডা. বিনয় কৃষ্ণ বলেন, সাধারণ দিনে যদি হার্টের শিরায় ৩০ শতাংশ ব্লকেজ থাকে, তবে ঠান্ডায় শিরাগুলো সঙ্কুচিত হওয়ার কারণে একই ব্লকেজ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন অ্যাটাকের জন্য আসা রোগীদের রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। এর সঙ্গে যারা ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারের পুরনো রোগী, তাদের জন্য বিপদ বেশি।

বুধবার কার্ডিওলজি ইমার্জেন্সি ও ওপিডিতে ৭৫৩ জন রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ৪৯ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। এলপিএস ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজির ডিরেক্টর ডা. বিনয় কৃষ্ণ বলেন, শীতে রোগীদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি রোগীরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সমস্যাগুলো বলতে পারেন। রোগীর কোনো সমস্যা হলে স্বজনদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।     

‘কার্ডিওলজিতে ২০০টি শয্যা রয়েছে। বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী আসছে, সেজন্য রোগীদেরও স্ট্রেচারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার প্রায় ৩০ জন রোগীকে স্ট্রেচারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও ডাঃ বিনয় কৃষ্ণ মন্তব্য করেন।#

পার্সটুডে/এমএইচ/এমবিএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।