মার্চ ২৮, ২০২৩ ১৮:১৬ Asia/Dhaka
  • 'জয় শ্রীরাম' না বলায় ইমামকে মারধর করার ঘটনায় উত্তেজনা

ভারতের মহারাষ্ট্রের আনোয়া গ্রামে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম জাকির সৈয়দ খাজাকে মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, ইমামের দাড়ি কেটে তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আহত ইমামকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবেশ যাতে খারাপ না হয় সেজন্য এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে প্রয়োজনীয় তৎপরতা শুরু করেছে।    

বলা হচ্ছে,  ক্ষতিগ্রস্ত ইমাম জাকির সৈয়দ খাজা ঘটনার সময় মসজিদে একাই ছিলেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। গত (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ রবিবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ  একদল দুর্বৃত্ত মুখে কাপড় বাধা অবস্থায় মসজিদে ঢুকে পড়ে। তারা এ সময়ে ইমামকে ‘জয় শ্রী রাম’  ধ্বনি দিতে বলে। ইমাম ওই ধ্বনি দিতে অস্বীকার করায় তিন দুর্বৃত্ত ইমাম জাকির সইদ খাজাকে জোর করে মসজিদের বাইরে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

ইমাম জাকির সইদ খাজা বলেন, রাসায়নিক মাখানো কাপড় ব্যবহার করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন তার দাড়ি কেটে ফেলা  হয়েছে। জানা গেছে,  রাত ৮টা নাগাদ নামাজের জন্য মসজিদে আসেন বেশ কিছু মুসুল্লি। তারা দেখেন আক্রান্ত ইমাম অজ্ঞান অবস্থায় মসজিদের বাইরে পড়ে আছেন। তারাই ইমামকে উদ্ধার করে সিলোদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে আওরঙ্গাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 

পুলিশ সুপার অক্ষয় শিন্ডে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং শান্তি বজায় রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিদর্শক অভিজিৎ মোরে বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু অসীম আজমী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, পবিত্র রমযান মাসে পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জালনায় যা ঘটেছে রাজ্যের অন্যান্য এলাকায়ও তা ঘটতে পারে। ওই বিষয়ে তিনি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যেসব এলাকায় জনসংখ্যা কম সেখানে রমযান পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী বাড়ানো উচিত যাতে আইনশৃঙ্খলার কিছুটা ভয় দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাস ছড়ায় তাদের মনে থাকে বলেও মন্তব্য করেছেন বিধায়ক আবু অসীম আজমী। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু অসীম আজমী। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/২৮     

ট্যাগ