পশ্চিমবঙ্গে ত্রিমূর্তি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে: অধীর চৌধুরী
-
অধীর রঞ্জন চৌধুরী
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আজ (শুক্রবার) ওই মন্তব্য করেন।
রাজ্যে আগামীকাল (শনিবার) পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে চলমান সহিংস বাতাবরণের মধ্যে আজ মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগরে রায়পুরে অরবিন্দ মণ্ডল (৪৫) নামে এক কংগ্রেস কর্মী নিহত হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে আজ অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার, মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।
কংগ্রেস নেতা অধীর বাবু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আর কত মৃত্যু, রক্ত বাংলায় ঝরতে হবে আপনার এই খুন আর সন্ত্রাসের পিপাসাকে নিবারণ করতে, তৃপ্ত করতে, মেটাতে? বাংলার মানুষ নির্বাচনে মনেপ্রাণে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে। আপনারা করতে দিতে চাচ্ছেন না। আপনি যদি এতই উন্নয়ন করে থাকেন, মানুষের এত ভালো করে থাকেন, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই সন্ত্রাসের কেন প্রয়োজন হল? ১৬/১৭ জন মানুষের প্রাণ চলে গেল! ‘দিদি ভাই’ (মুখ্যমন্ত্রী মমতা) ক’টা চোরকে আগামী পাঁচ বছর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে পুনরায় লুট করার জন্য আপনি ১৬/১৭ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেন! কালকে ভোটের দিন আরও কত মানুষের মৃত্যু হবে, জানা নাই। নির্বাচন কমিশনার, মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ- এই তিন মূর্তি, সন্ত্রাসের এই ত্রিমূর্তি এই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে’ বলেও মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি।
এদিকে, মুর্শিদাবাদে অরবিন্দ মণ্ডল নিহত হওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা পিটিয়ে হত্যা করেছে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘হয়তো হৃদ্রোগে মারা গেছেন। উনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন। সেই সময়েই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ প্রসঙ্গত, এ নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ পর্ব শুরু হওয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় রাজ্যে ১৮ জন নিহত হলেন। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।