‘শেইখ নিমরের ফাঁসি ইসলামের বিরুদ্ধে সৌদি শাসকদের শত্রুতার স্পষ্ট নিদর্শন’
-
বক্তৃতা করছেন মাওলানা সাইয়্যেদ কালবে জাওয়াদ
ভারতের মজলিশ-ই উলামা-ই হিন্দ মহাসচিব মাওলানা সাইয়্যেদ কালবে জাওয়াদ বলেছেন, শহীদের রক্ত বিফলে যাবে না, এটা আল্লাহর ওয়াদা। সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শেইখ নিমর বাকের আন-নিমরের শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার লক্ষনৌতে এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই মন্তব্য করেন। গত বছর ২ জানুয়ারি শেইখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি সরকার।
মাওলানা সাইয়্যেদ কালবে জাওয়াদ বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের দাবি জানানোর অপরাধে জালিমরা এক আলেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ওই সিদ্ধান্ত ন্যায় বিচার, মানবতা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে সৌদি শাসকদের শত্রুতার স্পষ্ট নিদর্শন।’
তিনি বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ শেইখ নিমর বাকের আন-নিমর মুসলিমদের অধিকার আদায়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। জালিম সৌদি সরকার কখনো ইনসাফ প্রত্যাশীদের জীবিত দেখতে চায় না। এ জন্য তাকে কয়েকবার গ্রেফতার করে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল।’
মাওলানা কালবে জাওয়াদ বলেন, ‘শাহাদাতের স্মরণ করা জীবিত কওমের চিহ্ন। শাহাদাত কওমের জন্য ইনকিলাব সৃষ্টি করে। যে জাতি তার নিজেদের শহীদের স্মরণ করে না তারা শেষ হয়ে যায়। শহীদদের কুরবানি কখনো ব্যর্থ হওয়া সম্ভব নয়। এটা কুদরতি আইনের বিরুদ্ধ বিষয়।’
তিনি বলেন, শেইখ নিমরের শাহাদাতের পরে সৌদি সরকারের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে এবং ইনশাআল্লাহ এবার এর চেয়েও আরো খারাপ দিন দেখার বাকি রয়েছে। গোটা বিশ্ব অত্যাচারী সৌদি সরকারের বরবাদি দেখছে।’
লক্ষনৌ’র দরগাহ হজরত আব্বাস নগরে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘আয়াতুল্লাহ শেইখ নিমর বাকের আন-নিমরের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়। আজ (শুক্রবার) জুমা নামাজ শেষে লক্ষনৌ’র আসফি মসজিদে এ নিয়ে দ্বিতীয় মজলিশ অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি সেদেশের প্রখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ শেইখ নিমর বাকের আন-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়
শেইখ নিমর বলতেন, “জুলুম জুলুমই। আপনি শিয়াই হন আর সুন্নিই হন, এ ক্ষেত্রে কোনো তফাৎ নেই। মজলুমদের সহযোগিতা করা আমাদের জন্য ওয়াজিব। শিয়া-সুন্নি বলে কোনো কথা নেই। জালেমদের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্ব নেই। জালেমদের আমরা প্রতিহত করব।”
তিনি সৌদি রাজতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর নানা অপকর্মের সমালোচনা করায় তাদের টার্গেটের শিকার হন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৬