ইরানের ৪৪তম বিপ্লব বার্ষিকীতে গৃহীত প্রস্তাব:
জাতীয় ঐক্য ও সংহতিই শত্রুদের পরাস্ত করার কার্যকর কৌশল
ইরানে আজ ৪৪তম বিপ্লব বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও শ্রেণী নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সহানুভূতিই শত্রুদের পরাস্ত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
আজ সমগ্র ইরানজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বার্ষিকীর গৌরবময় পদযাত্রা। আনন্দঘন ওই শোভাযাত্রা ও মিছিল শেষে ৮ অনুচ্ছেদ বিশিষ্ট একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওইসব প্রস্তাবে বলা হয়েছে: সমগ্র মুসিলিম বিশ্বের জন্য ইমাম খোমেনি (রহ) এর অস্তিত্ব ছিল একটা বৃহৎ নিয়ামত। আজ তাঁর অস্তিত্বের নূর বিশ্বের সকল শয়তানের মোকাবেলায় আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: ইসলামের শত্রুরা ভুল ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে, বিচিত্র কৌশলে ইরানি জাতির অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সংহতি নষ্ট করতে চায়। শত্রুদের পরাজিত করার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো অভ্যন্তরীণ ঐক্য সংহতি জোরদার করা।
বাক-স্বাধীনতার শ্লোগানের দাবীদার মুখোশধারী শক্তিগুলো আসলে পবিত্র কুরআন, আহলে বাইত এবং ইসলামের শত্রু। কুরআনের আলোকে তারা ভয় পায় বলে পবিত্র এই ঐশীগ্রন্থকে অপমান করছে। নীতি-নৈতিকতার আলোর তৃষ্ণা যাদের মধ্যে রয়েছে অচিরেই বিশ্বের সকল প্রান্তে কুরআনের আলো ছড়িয়ে পড়বে এবং তৃষ্ণার্তরা কুরআনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা মেটাবে।
ইরানের সত্যপ্রিয় জনতার উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির শুরুতেই সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সাধারণ জনগণের চেয়ে আলাদা। সর্বোচ্চ নেতা বিপ্লব বার্ষিকীতে নবী ও ইমামদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে আটক বহু অভিযুক্তের শাস্তি ক্ষমা কিংবা কমিয়ে দিয়েছেন। তরুণ সমাজকে অশুভ শক্তির বিভ্রান্তি এবং বিদেশী গুপ্তচরদের পরিকল্পিত ফাঁদে পড়া থেকে রক্ষা করতে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মহিলাদের মর্যাদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষায় শত্রুদের অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নস্যাৎ করতে এবং নারীদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তোলারও আহ্বান জানানো হয়।
ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শয়তান আমেরিকা ও বর্ণবাদী ইসরাইল গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বিপ্লবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারাই ইরানি জাতিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে এবং মানসিকভাবে হতাশ ও দুর্বল করে দিয়ে নৈরাজ্যের দিকে লেলিয়ে দিচ্ছে। চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি তাই আহ্বান জানানো হয়েছে ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক সত্য তুলে ধরে শত্রুদের পরিকল্পনা নস্যাত করে দিতে।
প্রস্তাবের শেষাংশে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নজিরবিহীন ভূমিকম্পের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সেসব দেশের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।#
পার্সটুডে/এনএম/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।