সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের গভীর সম্পর্কের প্রমাণ
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i119616-সন্ত্রাসবাদের_সঙ্গে_মার্কিন_প্রশাসনের_গভীর_সম্পর্কের_প্রমাণ
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মোনাফেকিনে খালক-কে সমর্থন জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সে ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান (শনিবার,১১ ফেব্রুয়ারী) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১৪:২৯ Asia/Dhaka

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মোনাফেকিনে খালক-কে সমর্থন জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সে ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান (শনিবার,১১ ফেব্রুয়ারী) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷

এ বিষয়ে তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন: সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুনাফেকিনে খালকের সমর্থনে মার্কিন কংগ্রেসের রেজুলেশন মূল্যহীন। তবে এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ হয়েছে আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা দায়েশ বা আইএস'সহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দিয়ে যেভাবে সিরিয়া ও ইরাককে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, ইরানকেও একই প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করতে চায়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানিও গত ১০ ফেব্রুয়ারী এ বিষয়ে একটি টুইট বার্তায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠি এমকেও'কে মার্কিন কংগ্রেসের ১৬৫জন সদস্য সমর্থন দিয়েছে। এই সমর্থনের মাধ্যমে তারা বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করেছে সন্ত্রাসবাদের সাথে মার্কিন প্রশাসনের কতোটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্য যে আমেরিকা আইএসআইএল প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তাদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, তারা ১৭ হাজার ইরানি নাগরিকের হত্যাকারী এমকেও'কে নির্লজ্জের মতো সমর্থন দেবে কিংবা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে যাবে তাতে তো অবাক হবার কিছু নেই।

গত বুধবার মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের রিপাবলিকান প্রতিনিধি টম ম্যাকক্লিনটক সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠি এমকেও'কে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। ওই প্রস্তাবকে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় দলের ১৬৫ জন প্রতিনিধি সমর্থন করে। ওই প্রস্তাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়েও অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবে ইরানের ভবিষ্যত নিয়ে মোনাফেকিন গোষ্ঠির নেতা মারিয়াম রাজাভির পরিকল্পনাকে সমর্থন করা হয়েছে।

ইরানে সংঘটিত সাম্প্রতিক দাঙ্গার ঘটনায় পশ্চিমা ব্লকের নেতা হিসাবে আমেরিকা ওই দাঙ্গাকে সমর্থন জানায়। সেইসঙ্গে তারা নৈরাজ্য ও দাঙ্গাকারীদের প্রতিহত করার  নিন্দা জানায়। এমনকি ইরানের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তারা বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওয়াশিংটন সবসময় ইরানি জনগণকে সমর্থন করে বলে মায়াকান্না করে। কিন্তু বিগত ৪ দশক ধরে ইরানি জাতির বিরুদ্ধেই তারা একটানা শত্রুতা করে এসেছে।#

পার্সটুডে/এনএম/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।