নিউ ইয়র্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
সামরিক উত্তেজনায় জড়াবে না আম্মান: জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাদির দাবি
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি দাবি করেছেন, তার দেশ ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনায় জড়াবে না। তিনি গতরাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের অবকাশে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ দাবি করেন।
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় এ দাবি করলেন যখন গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইরানের নিক্ষিপ্ত নজিরবিহীন হামলার সময় ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য একাধিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে আম্মান।
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন কিংবা দেশটির জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী যেকোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করা হবে।
সাক্ষাতে গাজায় ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও অপরাধযজ্ঞের পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন বলে জর্দানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে সাফাদি আঞ্চলিক উত্তেজনা পরিহার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরান দূতাবাস সংলগ্ন কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়। এতে দু’জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ইরানের সাতজন সামরিক উপদেষ্টা শহীদ হন। হামলায় কনস্যুলট ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান।
হামলায় নানা শ্রেণির অন্তত ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেহরান। আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে চালানো ওই হামলা প্রতিহত করতে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জর্দানসহ আরো কয়েকটি দেশ। জর্দান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে বিধ্বস্ত করার পর তেহরান ও আম্মানের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়। ওই টানাপড়েনের জের ধরে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে নিউ ইয়র্কে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হলো।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।