গোপনীয়তা রক্ষার ব্যর্থ নীতি: ইসরাইলি এবং ইরানি মিডিয়া নীতির মধ্যে পার্থক্য কি?
(last modified Tue, 29 Oct 2024 14:45:45 GMT )
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ২০:৪৫ Asia/Dhaka
  • গোপনীয়তা রক্ষার ব্যর্থ নীতি: ইসরাইলি এবং ইরানি মিডিয়া নীতির মধ্যে পার্থক্য কি?

ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতের সময় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যুদ্ধের একটি বাস্তব এবং স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করতে চাচ্ছে যাতে সবাই জানতে পারে যে গাজা এবং লেবাননের অরক্ষিত জনগণ কোন ধরনের বিশ্বাসঘাতক এবং নিপীড়ক শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে।

গাজা এবং লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী যুদ্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সংঘাতের কারণ নিয়ে সত্য আবিষ্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিটি পক্ষের সংবাদ পরিবেশনের পদ্ধতিকে বোঝা। পার্সটুডের মতে ইরানি সংবাদপত্র জম জমের একটি নোটে ইরানি সাংবাদিক মোহাম্মদ কাজেম আনবারলুই এই বিষয়ে লিখেছেন,  ইহুদিবাদী শাসক গত বছরে যে প্রাণহানি ও আঘাতের শিকার হয়েছে তা ঢেকে রাখার পেছনে ইসরাইলের উদ্বেগ কাজ করেছে। কারণ বিশ্বের জনমতের দৃষ্টিতে তার মিথ্যা মহিমা ভেঙে পড়েছে। আল-আকসা তুফানের পর আমরা দুটি মিডিয়া পন্থা দেখেছি।

গল্পের একদিকে রয়েছে কুদসের দখলদার শাসন যা প্রতিরোধের অক্ষ থেকে প্রাপ্ত শক্তিশালী আঘাতের পরেও সংবাদ ও তথ্যের তীব্র সেন্সরশিপসহ হতাহতের এবং আহত হওয়ার খবর প্রকাশে বাধা দেওয়ার জন্য তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যবহার করছে দৃশ্যের অন্য দিকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মিডিয়া পদ্ধতি রয়েছে যা ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত যে কোনও অপরাধের বিষয়ে মিডিয়াকে স্বচ্ছভাবে তথ্য সরবরাহ করছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের এই গোপন নীতি এই শাসনের দুর্বলতার লক্ষণ এবং ইসরাইলিরা যুদ্ধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের জন্য তাদের মিডিয়াকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে যাতে জনসাধারণকে বোঝানো যায় যে তারা যুদ্ধের বিজয়ী পক্ষে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও একটি বিকৃত এবং দুর্বল মুখ দেখাতে চান না।

এই সংঘর্ষ চলাকালীন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যুদ্ধের একটি বাস্তব ও স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরতে চায় যাতে সবাই জানতে পারে যে  গাজা ও লেবাননের প্রতিরক্ষাহীন জনগণ কী ধরনের বিশ্বাসঘাতক ও অপরাধী শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে, যারা কাউকে সম্মান করে না, যারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন ও বিধি-বিধান না মেনে গণহত্যা ও অগণিত যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মিডিয়া এবং সংবাদ পদ্ধতিতে যা প্রতিফলিত হয়েছে তা হচ্ছে এই ধরণের তথ্যে অতিরঞ্জন নেই তবে আমরা যা পাচ্ছি তা হল গাজায় এবং পরবর্তীকালে লেবাননে  ঘটে যাওয়া ঘটনার বাস্তবতা মানুষের সামনে তুলে ধরা  যাতে বিশ্ব জানে পশ্চিম এশিয়ায় কী কী ঘটছে।

ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সেন্সরশিপের সঙ্গে মিলে যাওয়া মিডিয়া নীতিগুলো একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা। যদিও ইসরাইলিরা অধিকৃত অঞ্চলে মিডিয়ার পাশাপাশি পশ্চিমে তাদের সাথে যুক্ত মিডিয়াকে সম্পূর্ণরূপে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে তবে এই পন্থাগুলো কোথাও স্বীকৃতি পায় নি। কারণ বিশ্বের জনমত ভালভাবে বুঝতে পেরেছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমস্ত যুদ্ধাপরাধ সত্ত্বেও ইসরাইল নিজের একটি বিজয়ী ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তবে অধিকৃত অঞ্চলের অভ্যন্তরে এবং সারা বিশ্বে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে এবং দিন দিন তা প্রবল বেগে জোরদার হচ্ছে। #

পার্সটুডে/এমবিএ/ব/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ