ইউক্রেন যুদ্ধের শিক্ষা
৩ বছর আগে ইউক্রেন সম্পর্কে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর ভবিষ্যদ্বাণী কী ছিল?
পার্সটুডে- আমেরিকার মদদপুষ্ট দেশগুলোর প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার তিন বছর আগের সতর্কবার্তা পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর কর্ম ও কীর্তি সংরক্ষণ ও প্রচার দপ্তরের ওয়েবসাইট KHAMENEI.IR এর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ সতর্কবার্তা পুনর্প্রকাশ করা হয়েছে।
তিন বছর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একটি কৌশলগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইউক্রেন সংকটের উৎস ও কারণ তুলে ধরে বলেছিলেন, ইউক্রেন রাষ্ট্রটি আমেরিকার সংকট তৈরির নীতির শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ এবং মখমল অভ্যুত্থান ও রঙিন আন্দোলনের প্রতি সমর্থনকে এই সংকটের প্রধান কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেছেন, “পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের পুতুল (মদদপুষ্ট) সরকারগুলোর প্রতি যে সমর্থন দিচ্ছে একটি মরীচিকা, এটি বাস্তব নয়; সব সরকারের এটা জানা উচিত।"
পার্সটুডে জানিয়েছে, তিন বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সেই বিশ্লেষণ যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় KHAMENEI.IR শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ ও চ্যানেলে ফার্সি এবং ইউক্রেনীয় ভাষায় তিন বছর আগের সেই বক্তব্য পুনর্প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, "ইউক্রেন পরিস্থিতিতে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুতুল সরকারগুলোর জানা উচিৎ ওদের সমর্থন বাস্তব নয়, তা মরীচিকা। আজকের ইউক্রেন হলো গতকালের আফগানিস্তান। উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট পাশ্চাত্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু তাদেরকে একা ফেলে গেছে।"
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন যাতে জেলেনস্কি তার দেশের খনিজ সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য চুক্তিতে সই করে। কিন্তু ঐ বৈঠকে গণমাধ্যমের সামনেই তারা উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন।
ট্রাম্প, তার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তাদের আশেপাশের লোকেরা সাংবাদিকদের সামনে জেলেনস্কির দিকে তেড়ে যান। একবার ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ধাক্কা দিয়ে কড়া ভাষায় চুপ থাকতে বলেন!#
পার্সটুডে/এসএ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।