৪ কোটি বছরের পুরোনো ইরানি বন 'হিরকানি' সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট
(last modified Tue, 04 Mar 2025 10:17:29 GMT )
মার্চ ০৪, ২০২৫ ১৬:১৭ Asia/Dhaka
  • ইরানের উত্তরাঞ্চলে আলংদারে নামে একটি বন রয়েছে, যা গোরগান শহরের হিরকানিয়ান বনের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
    ইরানের উত্তরাঞ্চলে আলংদারে নামে একটি বন রয়েছে, যা গোরগান শহরের হিরকানিয়ান বনের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

পার্স টুডে : হিরকানি বন (Hyrcanian Forests) প্রায় ৪ কোটি বছর পুরোনো একটি প্রাচীন বনাঞ্চল, যা মূলত কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ এবং ইরানের আলবোর্জ পর্বতমালার উত্তরে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো হিরকানি বনকে 'বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' হিসেবে ঘোষণা করে।

ভূতাত্ত্বিক এবং বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে অনুমান করেছেন যে, হিরকানি বনের বয়স ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি বছর। পার্স টুডের এই প্রবন্ধে, হিরকানি বন সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরা হচ্ছে যা প্রকৃতিপ্রেমী, গবেষক ও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

হিরকানি বনের বয়স ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি বছর বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান

১. ভৌগোলিক পরিধি

ইরানের উত্তরাঞ্চলের ৬টি প্রদেশের দুই মিলিয়ন ১২৫ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে হিরকানি বন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রদেশগুলো হলো- পূর্ব আজারবাইজান, আরদাবিল, গিলান, মাজান্দারান, গোলেস্তান এবং সেমনান।

হিরকানি বনাঞ্চল কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণে এবং ইরানের আলবোর্জ পর্বতমালার উত্তরে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত 

২. হিরকানি বনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

এলিমিস্তান, আবর শাহরুদ, বোলা সারি, ওয়াজ, কোজুর নোশাহর, লিসার, চা'হা'রবাগ চালুস এবং টোনেকাবনের শুষ্ক বন ইরানের হিরকানিয়ান বনের বিখ্যাত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে। হিরকানিয়ান বনের প্রাচীন যুগ এবং তাদের উদ্ভিদের বৈচিত্র্যের কারণে ২০১৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় এই বনাঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৯ সালে ইউনেস্কো হিরকানি বনকে 'বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' হিসেবে ঘোষণা করে।

হিরকানি বনে ৮০টিরও বেশি ধরণের গাছ, ৫০ প্রজাতির গুল্ম এবং বিভিন্ন ধরণের স্থানীয় নমুনা দেখা যায়, যার অনেকগুলো বিশ্বের অন্যান্য অংশে জন্মায় না। এই বনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিচ, ম্যাপেল, এলম, অ্যাল্ডার, অ্যাশ, হর্নবিম, বারঙ্ক, ইউ, লিন্ডেন, অ্যাঞ্জেলিকা, লার্চ, লিলাক, সাইকামোর, ডুমুর এবং বিভিন্ন ধরণের বক্সউড। 

হিরকানি বন

৪. জীববৈচিত্র্য: এই বনে প্রায় ৩,২০০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ১৮০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখির মধ্যে রয়েছে- ঈগল, পেঁচা, ধূসর হাঁস, বাজপাখি, তিতির, কোয়েল, ধূসর হাঁস, শকুন, অস্প্রে, কাঠঠোকরা, তিতির, স্টারলিং এবং চওড়া-কাটা হাঁস। বাদামী ভাল্লুক, চিতাবাঘ, নেকড়ে, শৃগাল, ভোঁদড়, হেজহগ, খরগোশ, ব্যাজার, বনের ইঁদুর এবং বন্য বিড়ালও এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম।

হিরকান বনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০   

৫. জলবায়ু: এই বনাঞ্চলের আবহাওয়া আর্দ্র ও নাতিশীতোষ্ণ যা উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের জন্য আদর্শ।#

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।