পেজেশকিয়ান এবং পুতিনের মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপে কোন বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে?
(last modified Thu, 08 May 2025 13:56:29 GMT )
মে ০৮, ২০২৫ ১৯:৫৬ Asia/Dhaka
  • পেজেশকিয়ান এবং পুতিনের মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপে কোন বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে?

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তার সাম্প্রতিক ফোনালাপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকীতে পুতিন এবং তার দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি,কৌশলগত সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রেমলিন কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতির ভিত্তিতে এবং ব্রিকস টিভি নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, উভয় পক্ষই পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যবহারিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বড় প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন

এই আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণ। দুই নেতা পরিবহন এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে প্রধান যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের উপর জোর দেন। এটি উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে বিশেষ করে রাশিয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে। এছাড়াও, ১৭ জানুয়ারী পেজেশকিয়ানের মস্কো সফরের সময় স্বাক্ষরিত ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছিল।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ওমানের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা

এই টেলিফোনালাপের সময় ওমানের মধ্যস্থতায় ইরানের পারমাণবিক আলোচনার বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছিল। পুতিন এই বিষয়ে একটি ন্যায্য চুক্তিকে সমর্থন করার জন্য রাশিয়ার প্রস্তুতির উপর জোর দেন। পশ্চিমা চাপের মুখে তেহরানের সাথে মস্কোর একাত্মতার কারণেই এই অবস্থান। উভয় পক্ষ কৌশলগত চুক্তির কাঠামোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা করেছে যা অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের কৌশলগত জোটকে শক্তিশালী করতে পারে।

পারস্পরিক সহানুভূতি এবং অভিনন্দনের অভিব্যক্তি

এই আহ্বানে পুতিন ২৬শে এপ্রিল শহীদ রাজাই বন্দরে বিস্ফোরণের পর ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন যাতে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকীতে পুতিন এবং দেশটির জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পেজেশকিয়ান।

আগামী মাসগুলোতে দুই দেশের অভিন্ন অগ্রাধিকার হবে সামষ্টিক-অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোতে মনোনিবেশ করা, বৈদেশিক নীতির সমন্বয় সাধন করা এবং পারমাণবিক আলোচনাকে সমর্থন করা। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে যে তেহরান এবং মস্কোর মধ্যে সহযোগিতা পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমীকরণের একটি মূল বিষয় হয়ে থাকবে।#

 

পার্সটুডে/এমবিএ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।