ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না
তেল আবিবের তথ্য বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক: সিএনএন
-
ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনার একটি
পার্সটুডে- সিএনএন জানিয়েছে যে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে ইরানের দ্রুত অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে ইসরাইলের দাবি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টের সাথে সাংঘর্ষিক।
সিএনএন জানিয়েছে: ইরানের বিরুদ্ধে হামলার সময় ইসরাইল দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা জারি করে দাবি করেছিল যে ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে আর সেজন্যই তা রোধ করতে হামলা চালানোর প্রয়োজন ছিল।
তবে ইরনা অনুসারে এবং এই মিডিয়া আউটলেটের উদ্ধৃতি দিয়ে, মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের সাথে পরিচিত চারজন ব্যক্তি বলেছেন ইরান যে কেবল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে না তাই নয় বরং পারমাণবিক বোমা তৈরি এবং ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জন থেকেও তিন বছর দূরে রয়েছে।
সূত্রগুলোর মধ্যকার একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন গত কয়েকদিন ধরে ইসরাইলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে। ইসরাইল ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি করলেও, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত ফোরদো স্থাপনাটি কার্যত অক্ষত রয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিশেষায়িত অস্ত্র এবং মার্কিন বিমান সহায়তা ছাড়া ফোরদোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা ইসরাইলের নেই।
"ইসরাইল হয়তো স্থাপনাগুলোর উপর দিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং সেগুলো ধ্বংসের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সেগুলো ভেঙে ফেলা কেবল মার্কিন সামরিক হামলা বা সহায়তার মাধ্যমেই সম্ভব," বলেছেন প্রাক্তন সিনিয়র কূটনীতিক এবং সিএনএন বিশ্লেষক ব্রেট ম্যাকগার্ক। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যারা মধ্যপ্রাচ্যে একটি জটিল এবং ব্যয়বহুল যুদ্ধে জড়িত হওয়া এড়াতে চায়।
অন্যদিকে, ইরানে পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের আগ্রাসনের পর, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় দলেরই বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে সংঘাত বৃদ্ধি এড়াতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৩ জুন, শুক্রবার সকালে, তেহরান এবং দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইহুদিবাদী সরকারের সন্ত্রাসী হামলার পর, বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন। ইহুদিবাদী সরকারের এই অপরাধের পর, বিপ্লবের নেতা শুক্রবার রাতে এক টেলিভিশন বার্তায় জোর দিয়ে বলেন: সশস্ত্র বাহিনী জঘন্য ইহুদিবাদী সরকারকে দুর্বিষহ করে তুলবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তাদের জীবন তিক্ত হয়ে উঠবে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের নৃশংস আক্রমণের জবাবে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দখলকৃত অঞ্চলের দিকে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ (শুক্রবার সন্ধ্যায়) শুরু করে।#