ইসলামের নবী সকল কল্যাণের শিক্ষক: ইমাম খামেনেয়ী
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i151866-ইসলামের_নবী_সকল_কল্যাণের_শিক্ষক_ইমাম_খামেনেয়ী
পার্সটুডে-হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর নাতি বিশ্ব শিয়াদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মদিন সমগ্র ইরান জুড়ে উদযাপিত হয়েছে।
(last modified 2025-09-11T11:17:58+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫ ১৯:৪৯ Asia/Dhaka
  • ইসলামের নবী সকল কল্যাণের শিক্ষক: ইমাম খামেনেয়ী
    ইসলামের নবী সকল কল্যাণের শিক্ষক: ইমাম খামেনেয়ী

পার্সটুডে-হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর নাতি বিশ্ব শিয়াদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মদিন সমগ্র ইরান জুড়ে উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার, ১৭ই রবিউল আউয়াল, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর নাতি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মদিন। এ উপলক্ষে, পার্সটুডে'র এই নিবন্ধে ইসলামের মহান নবী সম্পর্কে ইমাম খামেনেয়ী'র বক্তব্য থেকে ২০টি বাক্য উল্লেখ করা হলো:

-মহান নবীর সত্তা হলো একটি ছায়াপথের মতো এবং যার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার গুণাবলীর উজ্জ্বল বিন্দু। ২১/৩/২০০৬

-নবী হলেন একটি নিখুঁত পরিপূর্ণ সত্তার উদাহরণ, আল্লাহ তাঁর অস্তিত্বের জগতে এর চেয়ে নিখুঁত সত্তা আর তৈরি করেন নি। তিনি সমগ্র মানবজাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী এবং মানবজাতির পথের উজ্জ্বল আলো। ২১/৩/২০০৬

-ইসলামের নবী ছিলেন সকল কল্যাণের শিক্ষক। তিনি ইতিহাসের শেষ অবধি ন্যায়বিচার, মানবতা, জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব ও মানবজাতির নিরন্তর বৃদ্ধি, বিকাশ এবং অগ্রগতির শিক্ষক। ৭/৫/২০০৪

-নবীর মধ্যে, মানুষের সেবা করা আল্লাহর ইবাদাতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ২১/৩/২০০৬

-নবী ছিলেন পবিত্র; ইসলাম-পূর্ব আরবের সেই কলুষিত নৈতিক পরিবেশে, যৌবনে, সেই মহান ব্যক্তি তার সততা এবং বিনয়ের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। ১২/৫/২০০০

-আল্লাহর নবী কখনও মানুষের মেজাজ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং করুণা এবং মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানোর কথা ভুলে যান নি; তিনি মানুষের মতোই জীবনযাপন করতেন। ২৭/৯/১৯৯১

-নবীজী সর্বদা মানুষের সান্নিধ্যে প্রফুল্ল থাকতেন। যখনই তিনি একা থাকতেন, তখনই তাঁর দুঃখ, শোক এবং উদ্বেগ সেখানে উপস্থিত হত। ১২/৫/২০০০

-নবীর চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য হলো তিনি দরিদ্র, দুর্বল এবং অনুরূপ লোকদের সাথে মিশতেন। তিনি বাহ্যিক জিনিস এবং দৃশ্যত গৌরব ও জাঁকজমক সৃষ্টিকারী জিনিসগুলোকে গুরুত্ব দিতেন না। ২৩/৯/২০২০

-ইসলামী সমাজের মুসলমানদের একে অপরের প্রতি উদাসীনতার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের একটি অধ্যায় ছিল উদাসীনতার পরিবেশকে-ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং ভ্রাতৃত্বের পরিবেশে রূপান্তরিত করা এবং একে অপরের সাথে সহযোগী দল তৈরি করা। ২০/১০/১৯৮৯

-ইসলামের নবী সাহসী ছিলেন এবং কোনও বৃহৎ শত্রু ফ্রন্টই তাকে প্রকম্পিত বা ভীত করতে পারে নি। ১২/৫/২০০০

-নবী (সাঃ) দাওয়াত ও জিহাদের ক্ষেত্রে এক মুহূর্তের জন্যও দুর্বল কিংবা অলস হন নি এবং শক্তিমত্তার সাথে তিনি ইসলামী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যান যতক্ষণ না এটি সম্মান ও শক্তির শীর্ষে পৌঁছে। ২৭/১১/১৯৯১

-সম্মানের দিনে, অপমানের দিনে, কষ্টের দিনে, আরামের দিনে, সকল পরিস্থিতিতে, আল্লাহকে স্মরণ করা, আল্লাহর ওপর নির্ভর করা, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা; এটাই আমাদের জন্য নবীর মহান শিক্ষা। ২৭/১১/১৯৯১

-নবীর শাসন নীতি ছিল নিম্নরূপ: শত্রুর প্ররোচনা মোকাবেলায় সতর্ক থাকা; বিশ্বাসীদের সামনে বিনয়ী হওয়া। ১২/৫/২০০০

-নবীর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে, যেখানে কেউ কল্পনাও করতে পারে নি, সেই আরবের পানিহীন ও তৃণহীন মরুভূমির মাঝখানে একটি স্থায়ী মানব সভ্যতার তাঁবু স্থাপন করেছেন; "তাই প্রার্থনা করো এবং আমার আদেশ অনুসারে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াও।" ১২/৫/২০০০

-নবী সমস্ত ইতিহাসকে তার চিন্তার অধীনে রেখেছিলেন এবং তার পর প্রভাব রেখেছিলেন। ১৮/৫/২০০১

-মহান নবীর ধর্ম ও সংস্কৃতিতে, কোনও থেমে যাওয়া, ক্লান্তি, ক্ষয় বা হতাশার অস্তিত্ব নেই; আমাদের নবী হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ২১/৩/২০০৬

-নবীর নাম, স্মৃতি, জীবন, চরিত্র এবং শিক্ষা ইসলামী জাতিকে তএদর অলসতা থেকে বের করে আনতে পারে এবং প্রাণশক্তি দিতে পারে।  ১২/৩/২০০৮

-আমরা মুসলিমরা যদি মহানবী (সা.)-এর ব্যক্তিত্বের প্রতি মনোযোগ দেই, যদি আমরা শিক্ষা নিতে চাই, তাহলে আমাদের দ্বীন এবং আমাদের দুনিয়ার জন্য তাই যথেষ্ট। ১০/২/২০১২

-নবীর জীবনকে পুঙ্খানুপুঙ্খ অধ্যয়ন করা উচিত। তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই একটি ঘটনা, একটি শিক্ষা এবং মানবতার এক মহান প্রকাশ। ৩০/৭/২০০৮

-আমাদের ইসলামী সমাজ প্রকৃত অর্থেই একটি সম্পূর্ণ ইসলামী সমাজ যেখানে নবীর আচরণের সাথে সব খাপ খাইয়ে নেওয়া হয়। ২৭/৯/১৯৯১

পার্সটুডে/এনএম/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।