৩ দ্বীপের ওপর ইরানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহের অবকাশ নেই: মুখপাত্র
-
বাকায়ি
পার্সটুডে- ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তিনটি ইরানি দ্বীপ সম্পর্কে বলেছেন- ইতিহাস, আইন এবং বাস্তবতাসহ সব দিক থেকেই এসব দ্বীপের ওপর ইরানের সার্বভৌমত্ব সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি সিদ্ধান্ত। আর তাহলে একতরফা ও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ মোকাবিলার আন্তর্জাতিক দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রস্তাবের অনুমোদন থেকে এটা স্পষ্ট আন্তর্জাতিক সমাজে একাধিপত্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
গাজা পরিস্থিতি ভয়াবহ
বাকায়ি গাজা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অপরাধ ও নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির পরও প্রায় ৪০০ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার যেটুকু অবশিষ্ট ছিল সেটিও ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিবেদকরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছেন, এটা থেকে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরাইলকে কার্যত দায়মুক্তি দিচ্ছে।
মার্কিন লক্ষ্য: পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেছেন, বাস্তবতা হলো যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সব দেশের ওপর বিচারকের আসনে বসাতে চায়। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা নথিতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পর্কে কোনো কিছুই উল্লেখ নেই- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নথিটি মূলত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। এটি নিজেই ইসরাইলি অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রমাণ।
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
ইসমাইল বাকায়ি পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের পক্ষ থেকে তিনটি ইরানি দ্বীপ নিয়ে ভিত্তিহীন দাবির পুনরাবৃত্তি সম্পর্কে বলেছেন, দ্বীপগুলো সম্পর্কে ইরানের অবস্থান পরিষ্কার। ইতিহাসগত, আইনি ও বাস্তবতার ভিত্তিতে এসব দ্বীপের ওপর ইরানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই বিবৃতি আগের দাবিগুলোর পুনরাবৃত্তি এবং আমরা তা গ্রহণ করি না। প্রত্যেক ইরানি জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিষয়ে সংবেদনশীল। আমাদের উপদেশ হলো উপসাগরীয় দেশগুলো এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুক যা শত্রু ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পক্ষে যায়। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।
লেবাননের বিষয়ে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই
লেবাননের বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর এবং ইরান সেদেশে কোনো হস্তক্ষেপ করে না- এই মন্তব্য করে ইসমাইল বাকায়ি বলেন, হিজবুল্লাহ'র শেকড় লেবাননি সমাজের গভীরে প্রোথিত এবং এই সংগঠন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। ইরান সর্বদা এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন—এটিকে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা উচিত নয়; এটি দায়িত্বশীলতার পরিচয়। আমরা লেবাননের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপে প্রস্তুত। প্রতিরোধের অস্ত্র সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হিজবুল্লাহ নিজেই নেবে বলে তিনি জানান।#
পার্সটুডে/এসএ/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন