ইরান কি মরুভূমির দেশ?
-
ইরান বিশাল প্রাকৃতিক ও জলবায়ু বৈচিত্র্যের লীলাভূমি
পার্সটুডে- গুগলে সার্চ দিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয় তার মধ্যে একটি কমন প্রশ্ন হলো – ইরানে কি শুধুই মরুভূমি?
পশ্চিমা গণমাধ্যমের কারণে ইরান সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে আর তাহলো- ইরান হলো শুষ্ক দেশ এবং এখানে রয়েছে কেবলি মরুভূমি। তবে, ইরানের বাস্তবতা ভিন্ন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরান প্রায় ১৬ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি আয়তনের একটি বিশাল ভূখণ্ড এবং অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এর উল্লেখযোগ্য জলবায়ু বৈচিত্র্য রয়েছে। ইরানের বাইরের মানুষের ধারণার বিপরীতে ইরান কেবল একটি মরুভূমি নয়; এটি এমন একটি দেশ যেখানে চারটি ঋতু রয়েছে। একই সময়ে এর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন আবহাওয়া অনুভব করা যায়।
দেশের উত্তরে, ঘন বন এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতসহ আলবোর্জ পর্বতমালা রয়েছে। রাশত এবং সারি শহরের জলবায়ু উচ্চ বৃষ্টিপাতের কারণে মরুভূমি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দক্ষিণে, পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরের উপকূল উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ুর জন্য পরিচিত। পশ্চিমে, জাগ্রোস পর্বতমালা সেখানে রয়েছে তুষারাবৃত শীত এবং হালকা গরম।
এটা ঠিক যে, ইরানে লুত মরুভূমি এবং কেন্দ্রীয় মরুভূমির মতো বৃহৎ ও বিখ্যাত মরুভূমি রয়েছে, যেগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এবং আশ্চর্যজনক মরুভূমিগুলোর অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অঞ্চলগুলো কেবল ইরানের প্রাকৃতিক পরিচয়ের অংশ নয়, বরং তাদের বিশেষ ভূতাত্ত্বিক এবং পর্যটন বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বও রয়েছে। লুত মরুভূমি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত এবং পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণ স্থান হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
কাজেই ইরান হচ্ছে তুষারাবৃত পাহাড়, রেইনফরেস্ট, উর্বর সমভূমি, দীর্ঘ সৈকত এবং বিশাল মরুভূমির সংমিশ্রণ। এই জলবায়ু বৈচিত্র্য ইরানকে বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির আবাসস্থল করে তুলেছে এবং এর বিভিন্ন অঞ্চলে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
এ কারণে নির্দ্বিধায় এ কথা বলা যায় যে, ইরান কেবল একটি মরুভূমির দেশ নয়, বরং বিশাল প্রাকৃতিক ও জলবায়ু বৈচিত্র্যের লীলাভূমি, যার প্রতিটি অংশে আবিষ্কার করার মতো আলাদা পৃথিবী রয়েছে।#
পার্সটুডে/এসএ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন