সৌদি ষড়যন্ত্রের বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করল ইরান
(last modified Thu, 25 Jan 2018 01:30:47 GMT )
জানুয়ারি ২৫, ২০১৮ ০৭:৩০ Asia/Dhaka
  • ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে
    ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে

ইরানে শক্তিশালী বোমা ও গোলাবারুদের দু’টি চালান আটক করা হয়েছে। এসব বিস্ফোরক দিয়ে ব্যাপক লোক সমাগমস্থলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এসব পরিকল্পনার একটির পেছনে সরাসরি সৌদি আরবের হাত ছিল বলে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ২৩টি দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা উদ্ধার করেছে যেগুলো দিয়ে ইরানের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, উগ্র সন্ত্রাসীরা সৌদি সহযোগিতায় ইরানের পূর্ব (পাকিস্তান) সীমান্ত দিয়ে এসব বোমা দেশের ভেতর নিয়ে আসে।

গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান প্রদেশের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আরেকটি গোলাবারুদের চালান আটক করা হয়েছে। পশ্চিম (তুরস্ক) সীমান্তবর্তী মারিভান শহরের একটি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ গোষ্ঠীর কাছ থেকে এই চালান আটক করা হয়। এই চালানে রয়েছে টিএনটি ও সি-ফোরের মতো সামরিক বাহিনীতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম।

তবে এসব গোষ্ঠীর বিস্তারিত পরিচয় বা তাদের সম্ভাব্য টার্গেট সম্পর্কে বিবৃতিতে আর কিছু জানানো হয়নি।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চৌকস দল (ফাইল ছবি)

সৌদি সরকার এর আগে বহুবার প্রকাশ্যে ইরানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে। গত বছর জুন মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলায় বেশ কিছু মানুষ হতাহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছিলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীতে হস্তক্ষেপের জন্য ইরানকে শাস্তি পেতে হবে।”

ইরানের পার্লামেন্ট ভবন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মাজারে একযোগে চালানো ওইসব হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ। এই গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী আইএস নামে বেশি পরিচিত।

ওইসব হামলার এক মাস আগে তৎকালীন সৌদি উপ যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমরা যুদ্ধকে সৌদি আরবের পরিবর্তে ইরানের ভেতর নিয়ে যাবো।”

সৌদি আলেমরা বিশ্বব্যাপী যে ওহাবি মতবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার উগ্র রূপ ধারণ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে আইএসআইএল বা দায়েশ।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/২৫