এগিয়ে যাচ্ছে ইরানের তেল ট্যাংকার; ওয়াশিংটনের হুমকি: তেহরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i80022-এগিয়ে_যাচ্ছে_ইরানের_তেল_ট্যাংকার_ওয়াশিংটনের_হুমকি_তেহরানের_পাল্টা_প্রতিক্রিয়া
মার্কিন কর্মকর্তারা ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেল ট্যাংকারের গতিপথ রোধ করার যে হুমকি দিয়েছেন সে ব্যাপারে ইসলামি ইরানের কর্মকর্তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ১৯, ২০২০ ১৬:২৪ Asia/Dhaka
  • ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেল ট্যাংকার
    ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেল ট্যাংকার

মার্কিন কর্মকর্তারা ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেল ট্যাংকারের গতিপথ রোধ করার যে হুমকি দিয়েছেন সে ব্যাপারে ইসলামি ইরানের কর্মকর্তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন আচরণের কঠিন পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেল ট্যাংকারের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে আমেরিকা ক্যারিবিয়ান সাগরে নৌবাহিনী পাঠিয়েছে এবং ইরানি তেল ট্যাংকারের গতিরোধ করে দেয়ার যে হুমকি মার্কিন কর্মকর্তারা দিয়েছেন তা বেআইনি, বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কাজ জলদস্যুতা ছাড়া আর কিছু নয় যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করবে। আমেরিকার উচিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো’।

বায়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডানে জাতিসংঘ মহাসচিব

এদিকে, ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি তেহরানে মার্কিন স্বার্থ দেখাশোনাকারী সুইস রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরানি তেলবাহী জাহাজের বিরুদ্ধে আমেরিকার যেকোনো হঠকারী পদক্ষেপের পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন মেনে ইরানের তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। অবাধ বাণিজ্য আন্তর্জাতিক অধিকার এবং এ ক্ষেত্রে বাধা  দেয়ার অধিকার কোনো দেশের  নেই। ইরানের রয়েছে ৫ হাজার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল। ১১টি বড় সমুদ্র বন্দর ও ৬০টি ছোট বন্দরের মাধ্যমে বছরে তিন কোটি টন পণ্য আনা নেয়া করা হয়।

এর আগে গত জুলাইয়ে ব্রিটিশদের সহযোগিতায় আমেরিকা ভূমধ্য সাগরে ইরানের  একটি তেলবাহী জাহাজ বেআইনিভাবে  আটক করেছিল। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার অজুহাতে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ওই ট্যাংকারের গতিরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ইরান কোনো চাপের কাছে নতি শিকার না করায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ওই তেল ট্যাংকার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। খ্যাতনাম আরব রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতাওয়ান এ ব্যাপারে এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের উস্কানিতে বেআইনিভাবে ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করে ব্রিটেন সরকার অনেক বড় ভুল  করেছে। ব্রিটেনের কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন, জাহাজ আটকের ফলে ইরান অনুনয় বিনয় করবে এবং ক্ষমা চাইবে’।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সমুদ্রে অবাধ চলাচলের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপ ও মোড়লিসূলভ আচরণ জলদস্যুতার শামিল এবং জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ অবস্থায় নিজের স্বার্থ রক্ষার অধিকার ইরানের রয়েছে।  আমেরিকা যদি ইরানের ব্যাপারে কোনো ভুল করে বসে তাহলে ইরানও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর এবং শত্রুর যে কোনো আগ্রাসনের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।#        

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৯