সন্ত্রাসী আটক করে ইরানকে দুষল সৌদি আরব: তেহরানের প্রতিক্রিয়া
-
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে
সৌদি কর্মকর্তারা সুযোগ পেলেই ইরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপবাদ দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে তাদের ভূমিকাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কেননা এ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদেরকে অর্থ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সন্ত্রাসীদেরকে তারাই গড়ে তুলেছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব কাদের নেজামী আজ বাগদাদে সফরে গিয়ে সে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুম্মে আনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রতিরক্ষা ও সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান স্পর্শ কাতর পরিস্থিতিতে ইরান ও ইরাকের কর্মকর্তাদের মধ্যে সফর বিনিময়ের লক্ষ্য কি সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সফর একদিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিস্তার এবং অন্যদিকে ইরাকের অভ্যন্তরীণ জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল কাজেমী গত জুলাইয়ে তেহরান সফরে এসে ইরানের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা। এছাড়া ফুয়াদ হোসেন তেহরান সফরে এসে আমেরিকার পক্ষ থেকে কিংবা ইরাকের ব্যাপারে মার্কিন নীতির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বয়ে আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিবের ইরাক সফরের গুরুত্ব যতটা না সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ইরাকে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কোন কোন মহল ইরাকের সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে বলে কোন কোন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। ইসলামী ইরান ইরাকের কূটনৈতিক এলাকায় শুধু যে হামলার নিন্দা করে তাই নয় একই সঙ্গে দেশটির অভ্যন্তরীণ জাতীয় ঐক্য এবং বাগদাদ সরকারের সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ গ্রুপগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি সমর্থন জানায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইরাকের অভ্যন্তরে কোন কোন মহল কয়েকটি আরব দেশ ও পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় বাগদাদে সরকারের কাছে ইরানের ভাবমূর্তিও নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় ইরান ও ইরাকের কূটনীতিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বিনিময় শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে এবং দু'দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৭