শ্রোতাদের মতামত
'ফার্সি নতুন বছরের প্রথম প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি ছিল নতুনত্ব ও বৈচিত্র্যে ভরা'
সুপ্রিয় মহাশয়, আসসালামু আলাইকুম। শুরুতেই ফার্সি নববর্ষের প্রীতি ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। ইরানের ফার্সি নওরোজের প্রথম মাস ফারভারদিনের প্রথম চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি বিগত বছরের তুলনায় ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো ও পরিবেশিত হয়েছে।
নতুন বছরেই প্রিয়জন আসরে একটি নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করলাম। এটি একটি অনুষ্ঠানের জন্য শুভ লক্ষণ। ৮ ফারভারদিন তথা ২৮ মার্চের প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি শ্রোতাদের ভিন্ন স্বাদের ১০টি চিঠি, ফার্সি নওরোজের ১৪টি শুভেচ্ছাবার্তা, একজন শ্রোতা (বিধান চন্দ্র টিকাদার) ভাইয়ের সাক্ষাৎকার ও কয়েকজন শিল্পীর সমবেত সঙ্গীত দিয়ে সাজানো হয়েছিল। অনুষ্ঠান নির্মাণকৌশল ও উপস্থাপনাও ছিল চমৎকার।
ওইদিনে প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি শুনে আমার মতো অনেক শ্রোতাই মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়েছেন- একথা আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি। কেননা বিশ্বের যত বেতারের চিঠিপত্রের আসর- যে নামেই শুনি না কেন, সেখানে প্রাপ্তির অপূর্ণতা থেকে যায়। কী যেন অভাবের বেদনাবোধে মনটাকে দগ্ধ করে। কিন্তু রেডিও তেহরানের চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন অনুষ্ঠান শুনলে মনটা যেন প্রশান্তিতে ভরে যায়। একটি আনন্দ ও মাধুর্যপূর্ণ শান্ত পরিবেশে মনটা আনন্দে নেচে উঠে। তাই বার বার ছুটে আসি সাপ্তাহিক প্রিয়জন আসরের নিকট। ধন্য হই প্রিয়জন আসর থেকে মণি-মুক্তা সংগ্রহ করে, সমৃদ্ধ হই জ্ঞান ভাণ্ডার পূর্ণ করে। যা আমাকে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় পাথেয় হিসেবে সুপথ দেখায়। আলোকিত করে মনের অন্ধকার। দূরভিত হয় মনের কুলুষ কালিমা, পুলকিত হয় মনের শিরা উপশিরা, হৃদয়ে আনন্দের বন্যা বহে। তাই শ্রোতাবান্ধব ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রিয়জন অনুষ্ঠানটিকে কোনো কিছুর বিনিময়েই খোয়াতে চাই না।
ফার্সি বছরের প্রথম প্রিয়জন অনুষ্ঠানটিতে সুন্দর অনুভবের হৃদয়গ্রাহী গানটিও প্রতি সপ্তাহের ন্যায় এক সাগর বিনোদন ও আনন্দ বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা গ্রন্থনা ও ব্যবস্থাপনাও আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করেছে। তাই রেডিও তেহরানের তিন নক্ষত্র আশরাফুর রহমান ভাই, গাজী আব্দুর রশিদ ভাই ও নাসির মাহমুদকে ধন্যবাদ না জানালে অকৃতজ্ঞ বলে মনে হবে। তাই তাদেরকে একরাশ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শেষে রেডিও তেহরান কষ্ট করে সুন্দর অনুষ্ঠানটি উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে,
আব্দুস সালাম সিদ্দিক,
সভাপতি, সকাল-সন্ধ্যা রেডিও লিসেনার্স ক্লাব,
কান্দুলিয়া, বড়পেটা, আসাম, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।