জুন ০৫, ২০২২ ১৪:২৬ Asia/Dhaka
  • যুবরাজ চৌধুরী ও মনির আহমেদ-এর সঙ্গে লেখক
    যুবরাজ চৌধুরী ও মনির আহমেদ-এর সঙ্গে লেখক

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাদের নিয়মিত শ্রোতা ও ওয়েবসাইটের পাঠক।

রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে গত ২৭ মে, ২০২২ শুক্রবার বিকেলবেলা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বসেছিল বাংলাদেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত রেডিও তেহরানের শ্রোতা ও পাঠকদের এক মহামিলনমেলা। 

শ্রোতাদের একাংশ

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেকের মতো আমি নিজেকে সত্যিই ধন্য ও সম্মানিত বোধ করছি। মিলনমেলায় উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে ধন্য করেছেন ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের হেড অব মিশন, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এবং রেডিও তেহরানের সাংবাদিক ও প্রিয়জন অনুষ্ঠানের প্রযোজক জনাব মো. আশরাফুর রহমান, সংবাদ বিশ্লেষক জনাব সিরাজুল ইসলাম, কথাবার্তা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও রেডিও তেহরানের সাবেক পরিচালক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক কর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। 
অনুষ্ঠানে ভারত থেকে মনিটর এস. এম. নাজিম উদ্দীন এবং সুদুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাংবাদিক ও বেতার ব্যক্তিত্ব আকবর হায়দার কিরণ মহামিলন মেলায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি করেছে বহুগুণ। 
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল শ্রোতার জন্য দুপুরের খাবার সকলকে রসনা তৃপ্ত করে, যা ছিল সত্যিকার আতিথিয়েতার বহিঃপ্রকাশ। এরপর অনুষ্ঠানে নবীন-প্রবীণ সকল শ্রোতা প্রাণ খুলে নিজেদের মধ্যে নানা বিষয় মতবিনিময় করার সুযোগ পায় এবং ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়, যা ছিল হৃদয় ছোয়া এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। 
যারা এতদিন একে অপরের কন্ঠ ও চিঠিপত্র শুনতে অভ্যস্ত ছিল, তারা একে অপরকে কাছে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিল। রেডিও তেহরান শ্রোতাদের মনিকোঠায় কতটা গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে তা শ্রোতাদের বক্তৃতা ও অভিব্যক্তিতে বারবার জোড়ালোভাবে উচ্চারিত হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে সকলের গ্রুপ ছবি এবং সকল শ্রোতা পাঠকের জন্য মহামূল্যবান বই ও ক্রেস্ট সকলকে আরেকবার আপ্লুত ও অভিভূত করেছে এবং মিলনমেলার আয়োজকদের বর্ণাঢ্য আয়োজন স্বার্থক করেছে। এ ধরনের মিলনমেলা শ্রোতাদের বন্ধনকে ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় করবে এ কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। 

যখন আন্তর্জাতিক রেডিওগুলোর অনুষ্ঠানের সময় কমিয়ে দিচ্ছে এবং কোনো কোনো রেডিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন রেডিও তেহরান খুব শীগ্রই বাংলাদেশে এফএম ব্যান্ডে প্রচারের ব্যবস্থা করছে শুনে রেডিও তেহরানের প্রতি শ্রোতাদের আস্থা ও ভালবাসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে রেডিও তেহরানের এরকম একটি মিলনমেলায় উপস্থিত হতে পেরে আমার মতো অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এবং তারা প্রতি বছর এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। 

রেডিও তেহরানের বিস্তৃতি শুধু পারস্য উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুন এ প্রত্যাশা আমার ও অন্যান্য শ্রোতা পাঠক সকলের। 

মা-আসসালাম।
বিনীতভাবে

মো. জিল্লুর রহমান
ব্যাংকার ও কলাম লেখক,
৬৪/১, ২, ৩, সতিশ সরকার রোড,
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/মো.আবুসাঈদ/০৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ