'ঘটনার নেপথ্যে' অনুষ্ঠানটি পশ্চিমা প্রপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে
(last modified Sun, 22 Oct 2023 04:52:57 GMT )
অক্টোবর ২২, ২০২৩ ১০:৫২ Asia/Dhaka
  • 'ঘটনার নেপথ্যে' অনুষ্ঠানটি পশ্চিমা প্রপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে

আসসালামু আলাইকুম! রেডিও তেহরান বাংলা পরিবারের সকলের প্রতি রইলো একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আশা ও প্রার্থনা করি আপনারা সকলে ভালো ও সুস্থ আছেন।

২১/১০/২০২৩ তারিখে রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানমালায় একটি নতুন অনুষ্ঠানের সংযোজন হলো। 'ঘটনার নেপথ্যে' নামের ধারাবাহিক অনুষ্ঠান-এর প্রথম পর্বে চমৎকার একটি দৃষ্টান্তের উপস্থাপনার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করি।

শুরুটা ছিল এমন- একবার নিউ ইয়র্ক শহরে একটি হিংস্র কুকুর একটি শিশুকে আক্রমণ করে। এমতাবস্থায় একজন যুবক দ্রুত শিশুটিকে বাঁচাতে ছুটে যায়। সেখানে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় একজন রিপোর্টার উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই যুবকটি দ্রুত ছুটে গিয়ে ঐ হিংস্র কুকুরটির গলা পেঁচিয়ে হত্যা করে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এই ঘটনা দেখে উপস্থিত রিপোর্টের ঐ যুবকের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, আগামীকাল নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় শিরোনাম হবে 'নিউ ইয়র্কের সাহসী যুবক প্রাণ বাঁচালেন শিশুর'। একথা শুনে যুবক বললেন, আমি তো নিউ ইয়র্কবাসী নই। তখন রিপোর্টার বললেন, তাহলে শিরোনাম হবে , 'আমেরিকান সাহসী যুবক প্রাণ বাঁচালেন শিশুর'। যুবকটি তখন জানায় যে, সে তো আমেরিকান নয়, সে পাকিস্তানি! তখন সেই রিপোর্টার ওখান থেকে চলে যায়। পরের দিন নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে শিরোনাম বেরোয়, “বর্বর মুসলমানদের হাতে নিকৃষ্ট প্রাণী কুকুরের জীবনও নিরাপদ নয়।”

আসলেই পাশ্চাত্যের মিডিয়া তাদের নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশে তাদের খবর পরিবেশন করে থাকে। গোটা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ মাধ্যমগুলো পরিচালনা করে থাকে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর ধনকুবের। যারা গোটা বিশ্ব মোড়লিপনা করে থাকে। এই সকল মিডিয়ার দৃষ্টি ভঙ্গি অনুযায়ী বার বার প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ভাবতে ও বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। এটাকে এক ধরনের মিডিয়া প্রপাগান্ডা ও বলা যেতে পারে।

'ঘটনার নেপথ্যে ' অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান বলে মনে হয়েছে। এমন সময় উপযোগী নতুন ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা পর্বে পাশ্চাত্যের মিডিয়া প্রপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি। রেডিও তেহরানের এমন একটি চমৎকার ও বাস্তবচিত অনুষ্ঠান সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

 

শুভেচ্ছান্তে,

 

এস এম নাজিম উদ্দিন
বারুইপাড়া, মুর্শিদাবাদ 
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ