শ্রোতাদের মতামত
'রেডিও তেহরানের প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি এক অন্য মাত্রা লাভ করেছে'
প্রিয় মহোদয়, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতৃবৃন্দকে আমার অন্তরের ভালোবাসা ও প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ ও সুন্দর আছেন।
আমি রেডিও তেহরানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনরায় শুরু হয়েছে। ফলে আগের মতো চিঠি লেখা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও পার্সটুডে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত খবরের আপডেটে চোখ রাখি।
গত ২৫ অক্টোবর সান্ধ্য অধিবেশনে প্রচারিত 'প্রিয়জন' অনুষ্ঠানটি আরও একবার আমার মন ছুঁয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালি শ্রোতাদের চিঠি বা ইমেইল পাঠ, সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ক্লাব কার্যক্রমের খবর, ইরান সম্পর্কে জিজ্ঞাসার জবাব, মন ভালো করা গান- সবকিছু নিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানটি এক অন্য মাত্রা লাভ করেছে। এর পাশাপাশি 'শ্রোতাদের মতামত' বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কিত মতামতগুলো নিয়মিতভাবেই প্রকাশিত হচ্ছে।
'প্রিয়জন' অনুষ্ঠান ও 'শ্রোতাদের মতামত' বিভাগের অন্যতম ভালোলাগার দিকটি হল- প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রোতাদের চিন্তাভাবনাগুলো জানতে পারা। নিজের ভালোলাগা কোনো একটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে যখন অন্য শ্রোতাদের মতামত শুনতে পাই বা পড়ি, তখন কোথাও যেন তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাই। মনে হয় এ যেন আমারই মনের কথা। সুন্দর ও গঠনমূলকভাবে বিশ্লেষণ করে তুলে ধরলেন এ শ্রোতাবন্ধু। আবার কয়েকজন শ্রোতাবন্ধুর বিশ্লেষণ পড়ে অনুষ্ঠানটি নিয়ে নতুনভাবে ভাববার ও চিন্তা করবার পথ খুঁজে পাই। তখন আরও বেশি করে আকৃষ্ট হই অনুষ্ঠানটির প্রতি। অনুষ্ঠানটিকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে শিখি। আসলে একটি অনুষ্ঠানকে অনেক দিক থেকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করা যায়। সেই ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলি উঠে আসে শ্রোতাদের পাঠানো চিঠির পাতায়।
তাই মনে করি আজকের রেডিও তেহরানের বিপুল জনপ্রিয়তার পশ্চাতে অবশ্যই 'প্রিয়জন' অনুষ্ঠান ও 'শ্রোতাদের মতামত' বিভাগের অবদান অনস্বীকার্য। সেই সকল শ্রোতাবন্ধু যারা কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে নিয়ে অনুষ্ঠান শুনে নিজেদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন তারা অবশ্যই রেডিও তেহরানের সম্পদ।
রেডিও তেহরান এভাবেই আমাদের ভালোলাগার একটি গণমাধ্যম হিসেবে এগিয়ে যাক, এই আশা রেখে আজকের মতো শেষ করছি।
শুভেচ্ছান্তে,
ভাস্কর পাল
মহেন্দ্রনগর (অগ্রগামী ক্লাবের নিকটে)
পোস্ট: নাটাগড় (সোদপুর)
জেলা: উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১