বিপদ-আপদ বা সংকট মোকাবেলা সংক্রান্ত হাদিস
বিপদ-আপদ মোকাবেলায় মহানবী (সা)'র পবিত্র আহলে বাইতের নানা উপদেশ
পার্স-টুডে-কষ্ট, সমস্যা ও বিপদ-আপদ- এসবই হচ্ছে এমন এক ঝড়ের মত যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মহানবীর (আ) পবিত্র আহলে বাইত এইসব অবস্থায় ধৈর্য ধরার বিষয়ে অনেক উপদেশ দিয়েছেন।
সমস্যা ও আপদ-বিপদ এমন এক শোধনাগার বা সংস্কারক যা গড়ে তোলে মানুষের বিশুদ্ধ ব্যক্তিত্ব।
মহানবী মুহাম্মাদ (সা)'র জামাতা ও চাচাতো ভাই আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, বিপদ-আপদ ও কষ্টের কঠোরতম শত্রু ধৈর্য।
ইমাম হুসাইন-আ'র পুত্র ইমাম সাজ্জাদ-আ. বলেছেন, হে আমার সন্তান! সত্যের পথে ধৈর্য ধরবে যদিও তা তিক্ত মনে হবে তোমার কাছে।
হযরত আলী-আ. বলেছেন, ধৈর্য মানে যেসব সমস্যা ও মুসিবত যখন মানুষের ওপর নেমে আসে তখন সে সহ্য করে এবং নিজের ক্ষোভ বা আক্রোশ দমন করে।
ইমাম রেজা-আ. বলেছেন, কোনো আল্লাহর দাসের ইমানের বাস্তবতা পূর্ণ হয় না যতক্ষণ না তিনটি বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে দেখা দেয়: ধর্মকে চেনা বা জানা, জীবনে আয়-উপার্জন সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা এবং বিপদ ও দুর্যোগে ধৈর্য ধরা।
হযরত আলী-আ. বলেছেন, মুমিন বিপদ ও সংকটে ধৈর্য ধারণ করে আর মুনাফিক হা-হুতাশ করে তথা অধৈর্যশীল হয়।
মহানবীর (সা) নাতি ইমাম হাসান-আ. বলেছেন, যে কল্যাণে কোনো মন্দ বা অনিষ্ট নেই তা হল নেয়ামত বা কল্যাণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং কঠিন মুসিবতে ধৈর্য ধরা।
ইমাম আলী-আ. বলেছেন, বহু জটিল অচলাবস্থা ও কঠিন সমস্যার সমাধান আনে ধৈর্য
হযরত আলী-আ. আরও বলেছেন, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বিপদ ও দুর্যোগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় #
পার্সটুডে/এমএএইচ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।