গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলবে, তবে অস্ত্র সমর্পণ না করার অঙ্গীকার ইসলামি জিহাদের
https://parstoday.ir/bn/news/event-i153314-গাজায়_যুদ্ধবিরতি_চুক্তি_মেনে_চলবে_তবে_অস্ত্র_সমর্পণ_না_করার_অঙ্গীকার_ইসলামি_জিহাদের
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামি জিহাদ গাজায় ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে প্রতিরোধকামী সংগঠনটি অস্ত্র সমর্পণ না করার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছে।
(last modified 2025-10-23T08:36:57+00:00 )
অক্টোবর ২৩, ২০২৫ ১৪:২৫ Asia/Dhaka
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলবে,  তবে অস্ত্র সমর্পণ না করার অঙ্গীকার ইসলামি জিহাদের

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামি জিহাদ গাজায় ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। একইসঙ্গে প্রতিরোধকামী সংগঠনটি অস্ত্র সমর্পণ না করার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছে।

বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু হামজা বলেছেন যে এই আন্দোলন "আমাদের ভূমিতে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে এমনকি যদি এটি বছরের পর বছর স্থায়ী হয়"। আবু হামজা ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের অটল অবস্থানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা আমাদের অস্ত্র ত্যাগ করব না।

মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন যে এই আন্দোলন অন্যান্য প্রতিরোধকামী  সংগঠনের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, "আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন ঐতিহাসিক মোড়ের মুখোমুখি যেখানে জনগণ, জাতি এবং প্রতিরোধকামীরা আরব ও মুসলিম সংগ্রামের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসে একসাথে দাঁড়িয়ে আছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধ যা প্রায় দুই বছর পর যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই মাসের শুরুতে শেষ হয়েছিল তা আল-আকসা তুফান অভিযানের প্রতিক্রিয়া ছিল না,"বরং সীমাহীন আমেরিকান সমর্থনের সাথে একটি জাতিগত নিধন যুদ্ধের পূর্বপরিকল্পিত অভিপ্রায়কে প্রতিফলিত করে।"

আবু হামজা জোর দিয়ে বলেন যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের অভিযান 'আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ইসরায়েলের অন্তহীন অপরাধের প্রতিশোধ হিসেবে" গ্রহণ করা হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে আল-কুদস এবং পশ্চিম তীর দখল, গাজায় আক্রমণ এবং অবরোধ,সেইসাথে ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন।' তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদার 'সেনাবাহিনী'র মধ্যে মানবতা এবং মূল্যবোধের অভাব রয়েছে; এটি একটি বর্ণবাদী গুণ্ডা সেনাবাহিনী।"

বিবৃতিতে যুদ্ধের সময় প্রাণ হারানো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়েছে যার মধ্যে আল-কুদস ব্রিগেডের সাবেক মুখপাত্র নাজি মাহের আবু সাইফও রয়েছেন। ইসলামি জিহাদ যুদ্ধের সময় "লেবানন, ইয়েমেন এবং ইরানের একটি বিশ্বস্ত অংশ কর্তৃক ফিলিস্তিনকে প্রদত্ত সহায়তার প্রশংসা করেছে।'#

 

পার্সটুডে/এমবিএ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।