ইউক্রেন সংকট পাশ্চাত্যের নৈতিক অধঃপতনের প্রমাণ: হিজবুল্লাহ মহাসচিব
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i104976-ইউক্রেন_সংকট_পাশ্চাত্যের_নৈতিক_অধঃপতনের_প্রমাণ_হিজবুল্লাহ_মহাসচিব
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এক ভাষণে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট পাশ্চাত্যের নৈতিক অধঃপতনের প্রমান। গতকালের ওই ভাষণে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
মার্চ ০৯, ২০২২ ১৭:১২ Asia/Dhaka
  • হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ
    হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এক ভাষণে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট পাশ্চাত্যের নৈতিক অধঃপতনের প্রমান। গতকালের ওই ভাষণে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন।

প্রকৃতপক্ষে, ফিলিস্তিন হচ্ছে প্রথম সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধযজ্ঞের শিকার একটি জাতি। ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া ছাড়াও গত ১৫ বছর ধরে তারা গাজার ওপর কঠোর অবরোধ দিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারপরও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও পাশ্চাত্যের দেশগুলো ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না। এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিয় মূল্যবোধের কোনো গুরুত্ব আমেরিকার কাছে নেই। আমেরিকা ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের কোনো নিন্দা তো করেনি এমনকি ফিলিস্তিন ইস্যুটি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনেও বাধা সৃষ্টি করছে যাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে'। 

হাসান নাসরুল্লাহ তার ভাষণে আরো অনেক দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'কেবল চলতি শতাব্দিতেই ইরাক ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। এ ছাড়া সিরিয়ায় সংকট সৃষ্টিতেও ওয়াশিংটনের হাত ছিল। আমেরিকা ইরাকে বহু বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। যুদ্ধের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইরাকের মাটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে মার্কিন সেনারা ইরানের আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ শাবির  উপপ্রধান আবু মাহদি আল মোহান্দেসকে শহীদ করে। মার্কিন সরকার এখন পর্যন্ত ওই অপরাধযজ্ঞের তদন্ত করেনি'। 

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধযজ্ঞের আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে ইয়েমেন যুদ্ধ। আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের সরাসরি সমর্থন নিয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে। এই আগ্রাসন অষ্টম বছরে পড়তে যাচ্ছে। জাতিসংঘের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইয়েমেনে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ইয়েমেনে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতি পাশ্চাত্যের সমর্থন ও মদদ দেয়া থেকে তাদের নৈতিক অধঃপতন ফুটে উঠেছে। এ ব্যাপারে লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছেন, 'কেন সাত বছর ধরে ইয়েমেনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে? কেন তাদেরকে জ্বালানি দেয়া হচ্ছে না এবং সারা বিশ্ব কেন নীরব রয়েছে? কারণ  ইয়েমেনের জনগণ সাদা চামড়ার মানুষ নয়'।

শরণার্থীদের ব্যাপারেও পাশ্চাত্যের বৈষম্যমূলক আচরণ সম্পর্কে হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, 'যুদ্ধ ও সহিংসতার কারণে ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। অথচ পাশ্চাত্যের সরকার ও মিডিয়াগুলো কেবল ইউক্রেনের শরণার্থীদের ব্যাপারে সহমর্মিতা দেখাচ্ছে।  তিনি বলেন, শরণার্থীদের ব্যাপারেও পাশ্চাত্য বর্ণবাদী আচরণ করছে।  অর্থাৎ পাশ্চাত্য মুসলিম শরণার্থীদের বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। কিন্তু ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ব্যাপারে তারা খুবই তৎপর'।#    

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।