আটকাভিযান চালিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলনের দাবানল নিভিয়ে ফেলা যাবে না
জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি নেতাদের আটক করে ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের দাবানল নিভিয়ে ফেলা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির মুখপাত্র ফৌজি বারহুম এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দখলদার সরকার পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহর থেকে ৮৬২ ফিলিস্তিনি নেতা ও সাধারণ মানুষকে আটক করেছে।
তিনি গাজায় এক বক্তব্যে বলেন, ইহুদিবাদীদের এ আচরণে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের মোকাবিলায় তাদের আতঙ্ক, ব্যর্থতা ও পরাজয়ের গ্লানি ফুটে উঠেছে।
হামাসের মুখপাত্র বলেন, আমরা গাজাবাসীর পক্ষ থেকে পশ্চিম তীরের সকল ফিলিস্তিনি বিশেষ করে ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের সালাম ও সম্মান জানাই। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি, এ ধরনের অবৈধ আটক অভিযানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলনকে বিন্দুমাত্র স্তব্ধ করা যাবে না বরং ক্ষোভের আগুন আরো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। আর সে আগুনে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ইহুদিবাদী ইসরাইল।
ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগকেই বিচার বিভাগীয় আটকাদেশ দিয়ে বন্দিশিবিরে ফেলে রাখা হয়েছে।এই আটকাদেশের অর্থ হচ্ছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেসামরিক আদালতে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি ফলে তাদের মুক্তির জন্যও কোনো চেষ্টা চালানো যাচ্ছে না। এ ধরনের আটকাদেশের সর্বোচ্চ মেয়াদ ৬ মাস হলেও ইসরাইলি সামরিক আদালত এই মেয়াদ যতবার খুশি বাড়াতে পারে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।